জনসচেতনতা সৃষ্টিও রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব: বাহাউদ্দিন নাছিম

শুধু মিছিল সমাবেশ নয়, জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করাও রাজনৈতিক দলের নেতাদের বড় দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শনিবার সকালে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্মল পরিবেশ রক্ষায় শুধু গাছ লাগানো নয়, আমাদের কল-কারখানা ও যানবাহন থেকে যে কালো ধোঁয়া সৃষ্টি হয় তাও রোধ করতে হবে। নদীর নাব্যতা ও খাল-বিলকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ফিরে আসবে। দেশের পরিবেশ রক্ষায় দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুই প্রথম সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন। শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নয়, দেশকে সবুজায়ন ও বনায়নের মধ্য দিয়ে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি দেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সবুজায়নের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা শুধু দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেননি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, বনায়ন, সবুজ প্রকৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সংগ্রাম চালিয়েছেন।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত সুন্দর পরিবেশে বেঁচে থাকুক, সেটাই শেখ হাসিনা চেয়েছেন। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার জন্য কৃষককে ও দেশের মানুষকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং নিজেও গাছ লাগাতেন। শেখ হাসিনা সব সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ দেশের সব জনগণকে বিভিন্নভাবে সবুজায়নের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন‌।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কয়েক কোটি গাছ লাগিয়েছেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গত বছর প্রায় পাঁচ লাখ গাছ লাগিয়েছে। এবারও সে তুলনায় দ্বিগুণ গাছ লাগাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, কাজী শহীদুল্লাহ লিটন, আব্দুল আলিম বেপারী, কাজী মোয়াজ্জেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, কৃষিবিদ আ ফ ম মাহবুবুল হাসান মাহবুব, দফতর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাইদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।