রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৩:২১, ১০ জুলাই ২০২০

‘জুলুমের হাত থেকে গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাঁচাতে হবে’

‘জুলুমের হাত থেকে গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাঁচাতে হবে’

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যসত্ত্বভোগী, অযৌক্তিক ও বেআইনি জুলুমের হাত থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে অনলাইনে গবাদিপশু কেনা-বেচা এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে পরিবহণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, গবাদিপশুর পরিবহণে কোনোভাবেই যেন চাঁদাবাজি না হয়। সিন্ডিকেট করে ট্রাক আটকানো বন্ধ করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। খামারি ও গবাদিপশু বিক্রেতারা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। যারা হাটের বাইরে পশু বিক্রি করবে তাদের কাছে যেন কেউ টোল বা হাসিল তুলতে না যায়। এ বিষয়গুলোতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, গবাদিপশুর ক্রয়-বিক্রয় যতটা সম্ভব অনলাইন প্ল্যাটফর্মে করতে হবে। এ বিষয়টি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। অনলাইনে গবাদিপশুর মূল্য নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ দফতরগুলোকে সহায়তা করবে। তারা এরইমধ্যে প্রান্তিক খামারিদের উৎসাহিত করছে। ট্রাকের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে স্বল্প খরচে রেলওয়ের মাধ্যমেও গবাদিপশু পরিবহণ করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ দফতরগুলো ট্রেনের রুট ও সিডিউল ঠিক করে দেবে।

এ সময় পরিবেশ দূষণের আতঙ্ক যেন কোরবানিকে ঘিরে না হয় এবং পশুর চামড়া ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেন মন্ত্রী। এ লক্ষ্যে জেলা, উপজেলা, পৌর এলাকা ও গ্রামের হাট-বাজারের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনলাইন সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ সব বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের উপ-পরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়