রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

জেনে নিন, ‘করোনাভাইরাস’ কী, এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা

জেনে নিন, ‘করোনাভাইরাস’ কী, এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা

বাতাসে একটি নতুন প্রাণঘাতী ছড়িয়ে পড়ছে, যাকে বিজ্ঞানীরা ‘করোনাভাইরাস’ গোত্রের বলে মত প্রকাশ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের উহান শহরে ২০১২ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হয়, প্রথমে কয়েকশ ব্যক্তি সংক্রামিত হয়েছিল।

সার্স ভাইরাসের উপসর্গ সমূহের সঙ্গে মিল থাকার কারণে নতুন এই ভাইরাসটিকে সার্স ভাইরাসের সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ‘করোনাভাইরাস’ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপান ও তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে।

করোনাভাইরাস
একে প্রাণী দেহে সংক্রমণ সৃষ্টিতে সক্ষম ভাইরাসের একটি বৃহৎ গোষ্ঠী বলে মনে করা হয়। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মত অনুযায়ী- ভাইরাসগুলি জুনোটিক, যার অর্থ প্রাণী হতে মানুষের মধ্যে যেসব রোগ সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, ভাইরাসটি হয়তো ইতিমধ্যে মানুষের দেহে মিউট্যান্ট করেছে বা তার গঠনগত পরিবর্তন এনেছে।

লক্ষণ সমূহ

  • সাধারণত লক্ষণগুলির মধ্যে অসুস্থ হওয়ার সাধারণ অনুভূতি অন্তর্ভুক্ত।
  • এই ভাইরাসটি যখন দেহের অভ্যন্তরে সংক্রামিত হয় তখন সর্দি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা ও জ্বর হতে পারে।
  • আক্রান্ত হওয়ার প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে ফ্লুর লক্ষণগুলি দেখা যায়।
  • করোনা ভাইরাস শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
  • এটি বিশেষত দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

যেভাবে ছড়ায়

  • প্রথমে কোনো সংক্রামিত প্রাণীর সংস্পর্শে আসার মধ্য দিয়ে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে ‘করোনাভাইরাস’ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে।
  • বিজ্ঞানীদের মতে, ভাইরাসটি কাশি, হাঁচি বা হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। ভাইরাসটি সাধারণত সুস্থ ব্যক্তির মুখ, চোখ ও নাকের ভেতর দিয়ে দেহে প্রবেশ করে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা

  • সাধারণ লক্ষণ দেখা যেতে শুরু করলে আতঙ্কিত হবেন না। যদিও এখন পর্যন্ত এর কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায় না।
  • আপনি জনাকীর্ণ অঞ্চল থেকে দূরে সরে থাকলে এবং আক্রান্ত লোকের সংস্পর্শ এড়িয়ে চললে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
  • বাড়ির বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • বাড়ির বাইরে মাস্ক পরিধান করতে পারেন।
  • এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে ।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, যাতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। 
  • তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান টাইমস

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ