রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

স্পোর্টস ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

টিনের ছোট্ট ঘর থেকেই বিশ্বজয় রাকিবুলের

টিনের ছোট্ট ঘর থেকেই বিশ্বজয় রাকিবুলের

গত দুইদিনে বিশ্বব্যাপী আলোচিত একটি নাম রাকিবুল হাসান। গাড়িচালক বাবার একমাত্র ছেলের ক্রিকেটের প্রতি দুর্বলতা এতদিন প্রকাশ পেয়েছিল শুধুমাত্র সমবয়সীদের মাঝে। পরে টুর্নামেন্টের মাধ্যমে পুরো গ্রামবাসী জানতে পারে বিশ্বের দ্বারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের ছেলেটি।

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউপির বাশাটি গ্রামের টিনের ছোট্ট একটি ঘরে জন্ম হয় রাকিবুলের। আর এ ছোট্ট ঘর থেকে বেরিয়েই নিজের দেশের নাম ইতিহাসের পাতায় লেখালেন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের এ খেলোয়াড়। তাকে নিয়ে এখন সর্বত্রই বইছে আলোচনার ঝড়। এ জয়ে মিষ্টি বিতরণসহ আনন্দ মিছিল করেছে গ্রামবাসী।

রাকিবুলের গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, টিনের ছোট্ট পুরনো ঘরে কেউ না থাকায় রাকিবুলের ফুফা কামাল হোসেন পরিবার নিয়ে থাকেন। এ সময় রাকিবুলের ফুফু রোখসানা খাতুন বলেন, রাকিবুল বেশি পড়তে চাইত না। সুযোগ পেলেই ক্রিকেট খেলায় লেগে যেত। এজন্য আমরা বিরক্ত থাকলেও দেশের মুখ উজ্জ্বল কনায় খুবই আনন্দিত।

গ্রামের বিভিন্ন বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাকিবুল যে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলছেন, এ খবর টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই জানে গ্রামবাসী। বিশেষ করে কিশোররা বেশি খবর রেখেছে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই গ্রামের মানুষ রূপসী বাজারে গিয়ে রাকিবুলের খেলা দেখেছে।

গ্রামে ঢুকতেই দেখা হয় মিজান, এবাদুল, শাহরিয়ার ও মামুন মিয়ার সঙ্গে। তারা চারজনই রূপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। গ্রামের ছেলের এমন কৃতিত্বে তারাও বেশ খুশি।

তারা জানায়, রাতে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ হলেও পরিবারের অনুমতি নিয়ে রোববার রাতে রূপসী বাজারে গিয়ে খেলা দেখেছে। টানা উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বজয়ের শেষ রানটা আসে রাকিবুলের ব্যাট থেকে। এ আনন্দের ঘোর কাটছেই না তাদের। রাতেই গ্রামের মানুষ রাকিবুলের দলের জয়ে আনন্দ মিছিল করেছে।

গ্রামের মানুষের এ আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে চান রাকিবুলের বাবা শহীদুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে মুঠোফোনে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলে দেশে এলেই গ্রামে আসব। গ্রামের মানুষদের সঙ্গে এ আনন্দ ভাগাভাগি করব।

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ