রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২৭ জুলাই ২০২০

টেলিফোন আলাপে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে অবনতির সুযোগ নেই

টেলিফোন আলাপে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে অবনতির সুযোগ নেই

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তা প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বে উদাহরণ। অন্য কোনো দেশের কারণে এই সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন দুই দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তাতে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনীতির কোনো ইস্যুর কারণে অদূর ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। 

সেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের টেলিফোন কলে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের অবনতির কোনো সুযোগই দেখছেন না দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরাও। জানা যায়, গত ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আলোচনার সময় বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক চায় পাকিস্তান, চায় নিয়মিত যোগাযোগ।

এই ফোনালাপের পরে পাকিস্তানি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের খবর ছড়ানো হয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতির গুজব ছড়ানো হয় বিভিন্ন মাধ্যমে। ফোনালাপের পেছনে চীনের ইন্ধনের কথা বলা হয় নানান আঙ্গিকে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে চীনের বড় ধরনের বিনিয়োগের কারণে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে অপপ্রচার চলতে থাকে।

কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনের স্পষ্ট ভাষ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হলো বন্ধুত্বের। এই বন্ধুত্ব নিবিড় ও ঐতিহাসিক। এই সম্পর্ক হলো বিশ্বাসের। এই করোনা মহামারীতেও ভারত যেভাবে ফান্ড নিয়ে এগিয়ে এসেছে তাতে আমরা অন্য দেশগুলোকেও সাহায্য করতে পেরেছি। আর চীন হলো সাম্প্রতিককালে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী।

বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কোনো একটি টেলিফোন কল হতেই পারে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে কথা বলবেন। এতে তেমন কোনো সমস্যার কিছু তো দেখি না। আর এই ফোনকলে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে তা কিছুতেই সম্ভব নয়। এ সম্পর্ক অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কের কারণে বিরূপ হবে এটা ভাবা যায় না। স্পষ্ট করেই বলা যায়, বাংলাদেশ-ভারতের যে সম্পর্ক তার সঙ্গে বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্কের কোনো তুলনা হয় না। কারণ বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কের শিকড় অনেক গভীরে।

ভারতীয় সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত রায় চৌধুরীর মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বিভিন্ন ইস্যুতে সম্পর্ক হতেই পারে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো যুক্তি নেই।  কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এই সম্পর্ক  দিন দিন আরও দৃঢ় হবে, আরও পরিষ্কার হবে। সহযোগিতার ক্ষেত্র দিন দিন বাড়বে।

ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপের আয়োজনের বিষয়টি ছিল পুরোপুরি স্বাভাবিক কূটনৈতিক শিষ্টাচার। যখন কোনো দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান কথা বলতে চান তখন তো কাউকে না করা যায় না। দুই দেশের স্বাভাবিক যোগাযোগের বাইরে এখানে তেমন কিছুই হয়নি। এর সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক গুলিয়ে ফেলার কোনো কারণ নেই।

আলোকিত রাঙামাটি