রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ১৩ আগস্ট ২০২০

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিদ্যুতের তার যাচ্ছে মাটির নিচে

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিদ্যুতের তার যাচ্ছে মাটির নিচে

ফাইল ছবি


বিদ্যুতের তারের জঞ্জালে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সড়কের দুই পাশ। আর এ জঞ্জাল এড়াতে এ দুই শহরের সব বিদ্যুতের তার মাটির নিচে স্থাপন করা হবে। এ জন্য ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্প নিচ্ছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।

মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে পাইলট প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার। এর আওতায় নতুন করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১ লাখ ১৫ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবে ডিপিডিসি। পাশাপাশি হাতিরঝিল ও ধানমন্ডি এলাকার সব বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন মাটির নিচে স্থাপন করা হবে।  

জানা গেছে, একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি মাস থেকেই শুরু করে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ডিপিডিসি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশেনর শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রকল্পটি পরবর্তী একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পের কিছু কাজ সংযোজন করা হবে। এর আওতায় ঢাকার কিছু এলাকায় পরিক্ষামূলক বা পাইলট হিসেবে তার বিদ্যুতের তার মাটির নিচে নেয়া হবে। এতে সুফল পাওয়া গেলে বড় প্রকল্প গ্রহণ করবে সরকার। কিছু এলাকায় স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার চালু করা হবে। এর ফলে গ্রাহক ঘরে বসেই মিটারের সব তথ্য পাবেন। 
 
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটির আওতায় ডিপিডিসির অধীন রাজধানীর ঝিগাতলা, লালমাটিয়া, আসাদগেট, সাত মসজিদ রোড ও গ্রিন রোডের মোট পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশনে পাইলটিং বেসিসে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম চালু করা হবে। এর মাধ্যমে সাবস্টেশন ও ফিডার লেভেলের ত্রুটি চিহ্নিত করা, আইসোলেশন অ্যান্ড সার্ভিস রেস্টোরেশন এবং অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক রিকনফিগাশেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানার সুযোগ তৈরি হবে।

এছাড়া গ্রিড ব্যবস্থায় অটোমেটিক সার্কিট রিক্লোজার, রিং মেইন ইউনিট, অপটিক্যাল ফাইবার, লোড সুইচ, ডিজিটাল ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে ফিডার অটোমেশনের ব্যবস্থা করা হবে। ফলে মিটার রিডিংসহ অনলাাইনে ট্রান্সফরমারের কার্যক্রম মনিটর করা সম্ভব হবে। এ সংক্রান্ত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ও টেকনিক্যাল লস উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। 

প্রকল্পর আওতায় প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে শিমরাইলের মোহাম্মদী স্টিল ও শ্যামপুরে দু’টি ১৩২/৩৩ কোভি গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণ করা হবে। কামরাঙ্গীরচর, কল্যাণপুর, লালবাগ ও মাদারটেকে চারটি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন স্থাপন করা হবে। বিদ্যমান উপকেন্দ্রগুলোতে ক্যাপাসিটি ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে ১৩২ কেভি, ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি ভোল্টেজ লেভেলে পাওয়ার ফ্যাক্টরের উন্নয়ন করা হবে। ডেমরা, তালতলা ও কুমারটুলিতে তিনটি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশনের সংস্কার করা হবে। কামরাঙ্গীরচর, লালমাটিয়া, গ্রিন রোড, খানপুর ও খিলগাঁও; এই পাঁচটি সাবস্টেশনে এআইএস ব্রেকারের পরিবর্তে জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) ব্রেকার স্থাপন করা হবে। 

এছাড়া ঝিগাতলা, লালমাটিয়া, আসাদ গেট, সাত মসজিদ রোড ও গ্রিন রোডে পাইলটিং ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশনে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম চালু করা হবে। ছয়টি সাবস্টেশনে ভবনও নির্মাণ করা হবে। 

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ