রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:১০, ১ অক্টোবর ২০২০

ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড হবে ১০ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড হবে ১০ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে

ফাইল ফটো


ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়কটিকে ১০ লেন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা তিন হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণ কাজ বস্তবায়ন করবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কেরিয়া ওভারসিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।

বুধবার অর্থমন্ত্রী  আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

এই সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কমিটির সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষ হওয়ার পর এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের‘ইমপ্রুভমেন্ট ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রোড ইনটু এক্সপ্রেসওয়ে উইথ সার্ভিস বোথ সাইড’ বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান কোরিয়া ওভারসিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এ রাস্তা নির্মাণ করবে। 

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রাস্তাটি চার লেনের ছিল। এ রাস্তাকে আরো প্রশস্ত করা হবে। আমরা এটি বাস্তবায়নের জন্য কোরিয়ার একটি ভালো কোম্পানি পেয়েছি। তারা এবং সরকার মিলে রাস্তাটিকে প্রশস্ত করবে।

আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, এই রাস্তা প্রশস্তকরণের পুরো টাকাই কোরিয়ান কোম্পানি দেবে। প্রাথমিক ব্যয় ধরা তিন হাজার ৩৫১ কোটি টাকার মধ্যে এক টাকাও সরকারকে দিতে হবে না। কারণ বর্তমানে যে ফোর লেনের রাস্তাটি আছে সেটি সরকার নিজে করেছে। প্রশস্তকৃত রাস্তাটিও ফোর লেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। যে কারণে সরকারকে আর টাকা খরচ করতে হবে না। তবে এ কাজের জন্য যে পুনর্বাসন করতে হবে তার ২৮০ কোটি টাকা আর ইউটিলিটি স্থানান্তরের জন্য ১০০ কোটি টাকা সরকার বহন করবে। বাকি তিন হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা কোরিয়ান কোম্পানিটিই দেবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চার লেনের  জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়কটি ১০ লেনে উন্নীত হলে মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পৌঁছানো সম্ভব হবে।

সূত্র আরো জানায়, চার লেনের বিদ্যমান সড়কটির পাশাপাশি ১০ ফুট প্রশস্ত দুপাশে ব্যারিয়ার দিয়ে ইমার্জেন্সি লেন নির্মাণ করা হবে। যা দিয়ে শুধুমাত্র নিরাপত্তা গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও ভিআইপিসহ যেকোনো জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি চলাচল করবে। এরপর স্বল্প গতির যান চলাচলের জন্য ১৮ থেকে ২৪ ফুট করে আলাদা দুটি লেন করা হবে। এছাড়া আন্ডারপাস ইউটার্ন প্রতি ২-৩ কিলোমিটার পর নির্মিত হবে। আন্ডারপাস ও ওভারপাস সিস্টেমে গাড়ি যেন মুখোমুখি না হয় তার জন্য দুপাশের অন্য সড়ক থেকে এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে উঠতে ও বের হতে ইন্টারচেঞ্জ থাকবে।

আলোকিত রাঙামাটি