রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ৩০ নভেম্বর ২০২০

বাস রুট রেশনালাইজেশন

ঢাকার প্রবেশমুখে নতুন ১০ বাস টার্মিনাল

ঢাকার প্রবেশমুখে নতুন ১০ বাস টার্মিনাল

ফাইল ছবি

রাজধানীর যানজট কমাতে ঢাকার সীমান্তবর্তী এলাকায় ১০টি টার্মিনাল নির্মাণ করার প্রস্তাব করেছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। এতে নগরের গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আসার পাশাপাশি যানজটও কমে যাবে।

এই কমিটি মনে করে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীতে আন্তঃজেলা বাস ঢুকবে না। নির্ধারিত বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে বাসগুলো তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে চলে যাবে।

বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি সূত্র জানায়, সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী টার্মিনালে দেড় হাজার বাসের ধারণক্ষমতা রয়েছে। অথচ এখন টার্মিনাল তিনটিতে প্রতিদিন নয় হাজার ২৯৮টি বাস রাখা হয়। আরো কয়েক হাজার বাস নগরীর বিভিন্ন সড়কেই পার্কিং করা হয়। কমিটির মতে, রাজধানীতে যানজটের এটা বড় একটা কারণ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঢাকা শহরের সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে আরো ১০টি টার্মিনালের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে- কাঁচপুর উত্তর (১৫ দশমিক ৪৬ একর), কাঁচপুর দক্ষিণ (২৭ দশমিক ৭১ একর), কেরানীগঞ্জের বাঘৈর (৩৩ দশমিক ৬৩ একর), সাভারের হেমায়েতপুর (৩৬ দশমিক ৫০ একর), বিরুলিয়া (১৪ দশমিক ৫৩ একর), গাজীপুর (১১ দশমিক ৭০ একর), নবীনগর-চন্দ্রা রোডের বাইপাইল (৪০ দশমিক ৪০ একর), কাঞ্চন এলাকা (২৪ দশমিক ২৪ একর), আটিবাজারের ভাওয়াল (২৫ দশমিক ৭৮ একর) এবং ভুলতা (২৪ দশমিক ২২ একর)।

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পে অবকাঠামোগত উন্নয়নের চেয়েও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাই জরুরি। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া বাসগুলো ঠিকভাবে চলছে কি-না, যাত্রীরা সেবা পাচ্ছে কি-না, এসব বিষয় তদারকি করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে বাস রুট রেশনালাইজেশনের লক্ষ্যে ১০ সদস্যের একটি কমিটি করেন। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এরপর কমিটি বাস্তবতা সমীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পরামর্শক নিয়োগ করে।

দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে সমীক্ষা করা হয়। পরে গত ১০ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে এই কমিটির ১৩তম সভায় প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এই প্রতিবেদনেই নতুন ১০টি বাস টার্মিনালের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সায়েদাবাদ, মহাখালী এবং গাবতলীর বিদ্যমান বাস টার্মিনালগুলো কী কাজে ব্যবহার করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, নগরের ভেতর যেসব পরিবহন চলবে, ওই তিনটি বাস টার্মিনাল সেগুলোর জন্য ব্যবহার করা হবে। এতে করে রাস্তার ওপর কোনো গাড়ি পার্কিং করা লাগবে না, যানজটেরও সৃষ্টি হবে না।

আলোকিত রাঙামাটি