রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

তবে কেন হরতাল ডাকে বিএনপি

তবে কেন হরতাল ডাকে বিএনপি

বিএনপির ডাকা হরতালেও গতকাল রাজধানীতে যান চলাচল ছিল প্রায় স্বাভাবিক


দুই বছর পর গতকাল হরতাল ডাকে বিএনপি। ঢাকা সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ডাকা এই হরতালের প্রভাব লক্ষ করা যায়নি রাজধানীর কোথাও। নিত্যদিনের মতোই সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। সকাল থেকে খোলা ছিল অফিস-আদালত, দোকানপাট—সবকিছু। ভোর থেকেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে। জীবনযাত্রায় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। দলের নয়াপল্টন অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে কিছু সময় পার করা ছাড়া গোটা শহরের কোথাও পিকেটিং বা মিছিলের খবর পাওয়া যায়নি।

কেবল গতকালই নয়, এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা হরতালের দৃশ্যপট ছিল তথৈবচ। তারও আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯৪ দিনের লাগাতার অবরোধের একপর্যায়ে শিথিল হয়ে আসতে থাকে হরতাল-অবরোধের আবেদন। ফলে একপর্যায়ে তা স্থগিত করা হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসেই দুই দফা হরতাল ডেকেও সুবিধা করতে পারেনি বিএনপি। তারপর ২০১৭ সালে হরতাল ডেকেও পালন করতে পারেনি দলটি। তবু কেন বারবার হরতাল ডাকে বিএনপি—এখন এই প্রশ্ন জনমনে। এ নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির একাধিক নেতা।

দলের সিনিয়র একজন নেতা বলেন, হরতাল সফল করতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। অতীতে হরতালের পূর্ব রাতে মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো যে জনগণ টের পেত কাল হরতাল। কেন্দ্র থেকে গ্রুপে গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হতো কারা কোন এলাকায় রাজপথে থাকবেন। পিকেটাররা ভোর থেকেই রাস্তায় নেমে পড়তেন। মিছিল-স্লোগানে ও সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে একটি অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করা হতো। দলের বড়ো নেতারা থাকতেন নেতৃত্বে। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেই পরিবেশ ও পরিস্থিতি এখন আর নেই। তবু বাধ্য হয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অথবা দল ও দেশের প্রয়োজনে হরতাল দিতে হয়। তবে জনস্বার্থে হরতাল দিলে তাতেও যদি মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া না দেয়, তাহলে তো বিএনপির কিছু করার নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, গতকাল হরতাল ঘোষণার পর কীভাবে হরতাল পালন করা হবে তার কোনো নির্দেশনা ছিল না। ন্যূনতম কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। ঘোষণা দিয়েই সবাই ক্ষান্ত। রিজভী আহমেদ ছাড়া বড়ো নেতারা কেউ রাজপথে নামেননি। মহাসচিব ফখরুল ইসলাম পার্টি অফিসে ব্রিফিং করেছেন। অন্য নেতারা বাসায় সময় কাটিয়েছেন। তাহলে হরতাল হবে কী করে? দলের অন্য এক নেতা বলেন, নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় রাজপথে পিকেটিং করতে নামেননি তারা। হরতাল ডেকে তা সফল করার মতো সাংগঠনিক পরিস্থিতি এখন বিএনপির নেই। তবে সিনিয়র নেতারা রাজপথে নামলে অন্যান্য নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা রাস্তায় নামতে বাধ্য। কিন্তু হঠাত্ ডাকা এই হরতালের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন না।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা হরতাল ডেকেছি। তারা কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এই হরতাল প্রত্যাশা করেছিল, তাই এটা দেওয়া হয়েছিল।’

তথ্যসূত্র:-ইত্তেফাক

 

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ