রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৫১, ২২ মার্চ ২০২০

দীঘিনালায় কমছে তামাক চাষ, সরকারী প্রণোদনায় বাড়ছে ভুট্টার আধিপত্য

দীঘিনালায় কমছে তামাক চাষ, সরকারী প্রণোদনায় বাড়ছে ভুট্টার আধিপত্য

|| নিজস্ব প্রতিবেদক|| খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রায় সব উপজেলাতেই অন্তত কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বছরের পর বছর বাড়ছে তামাক চাষ। বিশেষ করে জেলার দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি। কিন্তু ধীরে ধীরে জেলার দীঘিনালায় তামাকের রাজ্যে বাড়ছে ভুট্টার আধিপত্য। পরিবেশ বিনাশী তামাকের বিকল্প হিসাবে ২০১৭ সাল থেকে ভুট্টাচাষে প্রণোদনা দিয়ে আসছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। এক দিকে কৃষি বিভাগের প্রণোদনা অন্যদিকে তামাকের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে ভুট্টাচাষীর সংখ্যা। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ১২০ মেট্টিক টন। প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাতের নিশ্চয়তা পেলে এই এলাকায় আগামী দু-এক বছরের মধ্যে ভুট্টাচাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা।

চলতি মৌসুমে দীঘিনালায় ভুট্টার চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। আগের মৌসুমগুলোতে তামাকের দাম ও বাজারজাত ভালো না হওয়ার পাশাপাশি সরকারী প্রণোদনায় ভুট্টার চাষ শুরু করেছেন অনেক কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টার ফলনও ভাল হয়েছে।

দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অতীতে যেসব জমিতে ব্যাপকহারে পরিবেশ বিনাশী তামাকের চাষ করা হতো এ বছর সেসব জমিতে করা হয়েছে উন্নতজাতের ভুট্টার চাষ। তামাকের চেয়ে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় ভুট্টাচাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন উপজেলার অসংখ্য কৃষক। চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি একর জমিতে ভুট্টাচাষ করতে খরচ হয় সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। উৎপাদন ভাল হলে প্রতি একরে উৎপাদিত ভুট্টার মূল্য আসবে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। তাছাড়াও ভুট্টাচাষে গৌখাদ্য এবং চাষীদের পারিবারিক জ্বালানী কাঠের চাহিদাও পূরন করে বলে জানা যায়। এ বছর সবচেয়ে বেশি ভুট্টার চাষ হয়েছে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে। মাটির উর্বরতা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় উৎপাদনও হয়েছে ভাল। 

এই ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি ভুট্টাচাষ করেছেন সওদাগর পাড়ার কৃষক নুরুল কালাম ভূট্টো। তিনি জানান, ‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রণোদনা এবং স্থানীয়ভাবে বাজারজাতের নিশ্চয়তা পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা ভুট্টা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বছর এই ইউনিয়নে প্রায় ১৫০ একর জমিতে উন্নতজাতের ভুট্টাচাষ করা হয়েছে। আমি নিজেও চার একর জমিতে ভুট্টাচাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। আমার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। উৎপাদন ভাল হওয়ায় উৎপাদিত ভুট্টার বিক্রয় মূল্য আসবে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তাছাড়াও স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত প্রতি মন ভুট্টা ৬০০ টাকা মূল্যে কিনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক তামাক চাষীকে ভুট্টাচাষে সম্পৃক্ত করেছেন বলেও জানান তিনি। 

বড় মেরুং এলাকার কৃষক মোঃ মোস্তফা ও মনোয়ার হোসেন জানান, তামাকের বিকল্প হিসাবে আমরা এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে উন্নতজাতের ভুট্টাচাষ শুরু করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে বীজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। স্থানীয় কৃষক নুরুল কালাম ভুট্টো আমাদের উৎপাদিত ভুট্টার প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। কৃষকদেরকে বাজারজাতের নিশ্চয়তা দেয়া হলে প্রণোদনা ছাড়াই তামাকের বিকল্প হিসাবে ভুট্টাচাষের প্রতি মনোযোগী হবেন। কারন তামাকচাষ করে এই এলাকার অনেক কৃষক নিঃস্ব হয়েছেন। তাই প্রণোদনা নয় এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত ভুট্টার বাজারতাতের নিশ্চয়তা চায় বলে জানান তারা।

মেরুং ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চাকমা জানান, প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে তামাকের বিকল্প হিসাবে ভুট্টাচাষের প্রতি কৃষকদের আকৃষ্ট করতে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। যার ফলে ২০১৭ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এই এলাকায় ভুট্টাচাষীর সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি ভুট্টার চাষ হয়েছে মেরুং ইউনিয়নে। তবে বাজারজাতের নিশ্চয়তা পেলে পরিবেশ বিনাশী তামাকচাষ পরিহার করে এলাকার প্রত্যেক কৃষক ভুট্টাচাষের প্রতি মনোযোগী হবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস জানান, প্রণোদনা ছাড়াও এবছর অনেক কৃষক ভুট্টাচাষ করেছেন। আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৭ হেক্টর জমিতে দুইশ’ কৃষককে ভুট্টাচাষের জন্য  প্রণোদনা দিয়েছি। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে মেরুং ইউনিয়নের চাষীদের। তার বাইরে প্রণোদনা ছাড়া আরও ১১৩ হেক্টর জমিতে উন্নতজাতের ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। সব মিলে ১৪০ হেক্টর জমিতে এ বছর ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ১২০ মেট্টিক টন। তবে প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাতের নিশ্চয়তা পেলে তামাকের বিকল্প হিসাবে এই উপজেলায় ভুট্টাচাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে জানান তিনি। তিনি বলেন,  ভুট্টা চাষে তুলনামূলকভাবে খরচ ও পরিশ্রম কম লাগে। আর কম খরচে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। এই অঞ্চলে ভুট্টার চাষ দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ভুট্টা চাষের ব্যাপারে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি এবং একই সাথে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ কাশেম জানান, তামাকের আগ্রাসন থেকে এই উপজেলার কৃষকদের মুক্ত করতে তামাকের বিকল্প চাষাবাদ নিয়ে আমরা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি। এই উদ্যোগের আওতায় কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারজাতের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তাই উৎপাদিত ভুট্টার বাজারজাতের বিষয়ে কৃষকদের হতাশ হওয়ার কোনো কারন নেই বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, তামাক চাষ করলে অন্য ফসল উৎপাদন করে কাঙ্খিত লাভ পাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। খাদ্য ঘাটতি মেটানোর জন্য কোটি কোটি টাকার আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ছে দেশ। যেটি সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শস্য বৈচিত্র্যতার ঘাটতির কারণে অনেক শিল্পের কাঁচামাল সংকট দেখা দিচ্ছে। যার পরিণতি দাঁড়াচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, নিজস্ব শিল্পকারখানার ভঙ্গুর অবস্থা। তামাক চাষের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন শুধু নির্দিষ্ট একক কোনো দেশ নয়, এটি সারা বিশ্বের পরিবেশ স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্যের এবং অন্যান্য ফসল উৎপাদনের সময়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কৃষি বিভাগ বলছে, তামাক চাষের জমিতে অন্য ফসল সময়মতো চাষ করা যায় না। তামাক চাষের জন্য অধিক উর্বর জমি দরকার হয়। রবিশস্যের জন্য আর সেই উর্বর জমি থাকে না। শেষ পর্যন্ত ফসলি জমির হার ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে প্রান্তিকে চলে যায়। যেসব জমিতে আগে চাষ হতো ধান, গম, পিয়াজ, রসুন, আলু, পটোল, সরিষা, পাট ইত্যাদি মৌসুমি ফল-ফসল সবজিসহ অর্থকরী ফসল, সেখানে চাষ হচ্ছে প্রকৃতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতিকর তামাক। যেটি কোনো খাদ্য ফসল নয়, কোনো প্রয়োজনীয় শিল্পের কাঁচামালও নয়।

দীর্ঘদিন ধরে তামাক চাষ করার কারণে জমির উর্বর শক্তি দিন দিন কমতে থাকে, একই জমিতে টানা কয়েক বছর তামাক চাষের কারণে জন্মাচ্ছে ক্ষতিকর এক ধরনের আগাছা যেটি ক্লোরোফিলবিহীন। এটি জমির উর্বরতা, পানির ধারণক্ষমতা, মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে, একটা পর্যায়ে এসব জমিতে অন্য কোনো ফসল হয় না। টোব্যাকো কোম্পানি তামাক চাষের জন্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তরিত হয়। উর্বর জমি ব্যবহার শেষ হলে, অন্য জেলায় তাদের কৌশলগত বিষয়টি প্রয়োগ করে পুনরায় চাষ শুরু করে। তামাক নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক প্রকাশনা দ্য টোব্যাকো এটলাস-এর ২০১৮ সালে সংস্করণে বলা হয়েছে, প্রতিবছর ১ লাখ ৬২ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে তামাক জাত দ্রব্য ব্যবহারজনিত কারণে। গবেষণায় আরও দেখা যায়, সরকার সব ধরনের তামাক থেকে যত রাজস্ব পায় তার প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। দেশের জিডিপির প্রায় ৩% তামাকজনিত কারণে অপচয় হয়। তাই খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্য পুষ্টি, শিক্ষা, কৃষি অর্থনীতি, গৃহস্থালি, জলবায়ু-আবহাওয়া, মাটি, পানি, মানব স্বাস্থ্যের উন্নয়ন পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা তথা টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে তামাক চাষ বন্ধ করা জরুরি।

২০১৯ সালের ১২ মে রাজধানীর আগারগাঁওতে পিকেএসএফ এর অডিটোরিয়ামে ‘তামাক বিরোধী জাতীয় প্ল্যাটফর্ম’ এর উদ্যোগে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৯’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনার ও ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক-২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে  কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষির আধুনিকায়ন তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করবে। এর জন্য প্রয়োজন উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। তামাক ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো থেকে প্রতিবছর সরকারের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে, পরোক্ষভাবে তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত লোকদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য। শুধু যারা ঢাকায় বসবাস করে, তারা সঠিকভাবে তাদের ট্যাক্স দিলে তামাক কোম্পানির এই ট্যাক্স পরিহার করা সহজ হবে এবং তামাক উৎপাদনও বন্ধ করা যাবে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা এক প্রবন্ধে বলা হয়, বিশ্বের তামাক উৎপাদনকারি ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম, প্রথমে আছে চীন। বাংলাদেশের মধ্যে তামাক উৎপাদনকারী জেলার মধ্যে প্রথম হচ্ছে কুস্টিয়া জেলা। তামাক চাষের নিবিড়তা ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শতকরা ১৪৫ ভাগ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে শতকরা ২১৩ ভাগ হয়েছে। এতে আরো দেখানো হয় যে সামগ্রিকভাবে তামাক চাষের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক। তামাক উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করা গেলে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভেঙ্গে কৃষি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা সম্ভব।

গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ অনুযায়ী, বর্তমান দেশে মোট তামাক ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৮ লোখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর (১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৩৫.৩ শতাংশ। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই হার অনেক বেশি। তামাক ব্যবহারের ফলে দেশের অর্থনীতিতে বছরে নিট ক্ষতির পরিমাণ ওই সময় পর্যন্ত ২ হাজার ৬শ কোটি টাকা।

তাই সরকারী প্রণোদনা ও পৃষ্টপোষকতা দিয়ে বর্তমানে দেশের অনেক স্থানে কৃষকদের ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে বিমুখ করে বিভিন্ন অর্থকরী ফসলের দিকে ধাবিত করছে সরকার। আর পার্বত্য চট্টগ্রামে তামাকের আগ্রাসন বন্ধে সরকারের এসব প্রণোদনাকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় পরিবেশবিদরা মনে করছেন, যথাযথ বাজার ব্যবস্থাপনা, বাজারজাতকরণ নিশ্চিত, পরিবহণ ব্যবস্থার সহজ লভ্যতা, উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত ও সরকারী প্রণোদনাই পারে পাহাড়ে কৃষকদের তামাক চাষ বিমুখ করে অর্থকরী শস্য উৎপাদনে আগ্রহী করে তুলতে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়