রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২ জানুয়ারি ২০২০

দুঃখ জয়ের পাঁচ মন্ত্র

দুঃখ জয়ের পাঁচ মন্ত্র

ছবি: সংগৃহীত


চলছে নতুন বছর। যত দুঃখ, জরা, গ্লানি আর সব ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে শুরু করুন নতুন বছর। পুরনো দুঃখ ভুলে নতুন বছরের আনন্দ নিয়ে নতুন করে শুরু করুন। 

এ বছরটা কীভাবে কাটাবেন পরিকল্পনা করুন। দুঃখকে জয় করে কাছের মানুষদের নিয়ে হাসি আনন্দে দিন কাটান। ভাবছেন কীভাবে কি করবেন? জেনে নিন দুঃখকে জয় করে হাসিখুশি থাকার টিপস-

দুঃখকে জানুন
দিন শেষে নিজেকে সময় দিন। সারা দিন কী কী বিষয়ে মন খারাপ হয়েছে, সেটি নোট করুন। ঠিক কী কারণে আপনার খারাপ লাগছে খুঁজে বের করুন। এই কাজটি ঘুমানোর আগে করা ভালো। খুঁজে খুঁজে দুঃখ বের করতে গেলে দেখবেন আপনার অপশন কমে আসছে। যা পাচ্ছেন তার অধিকাংশ আবার অহেতুক। পরবর্তীতে দেখবেন অহেতুক বিষয়ে আর মন খারাপ হচ্ছে না।

ব্যায়াম করুন
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সাধারণ এই কথাটির বিশেষত্ব বুঝতে অনেকের সারা জীবন পার হয়ে যায়। এতোকিছু না ভেবে জিমে যান। প্রতিদিন একটি নির্দিস্ট সময় ব্যায়াম করুন। দেখবেন মন এবং শরীর দুটোতেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন।   

সচেতন হোন
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান এবং কগনিটিভ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক লরি স্যান্টোস বলেছেন, বিজ্ঞানে এটা প্রমাণ হয়েছে যে সুখী হতে হলে সচেতন প্রচেষ্টার প্রয়োজন। এটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এজন্য সময় লাগবে। তিনি জানান, সুখী হওয়া বিষয়টি এমন নয় যে চাইলেই হওয়া যায়। এর জন্য দরকার চর্চা। অনেকটা ভালো সংগীত শিল্পী বা ক্রীড়াবিদ হয়ে ওঠার মতোই। সাফল্যের জন্যে তাদেরকে যেমন চর্চা করতে হয় সুখী হওয়ার ব্যাপারেও আপনাকে সেটা করতে হবে।

কৃতজ্ঞতার তালিকা তৈরি করুন
অধ্যাপক স্যান্টোস তার শিক্ষার্থীদের বলেন, প্রত্যেক রাতে তারা যাদের কাছে বা যেসব জিনিসের কাছে কৃতজ্ঞ তার একটি তালিকা তৈরি করতে। এটা শুনতে খুব সহজ মনে হতে পারে, তবে আমরা দেখেছি যেসব শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে এটা চর্চা করেন তাদের সুখী মনে হয়।

নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চেষ্টা করুন
এই কাজটা করা সবচেয়ে সহজ বলে মনে হয় কিন্তু আসলে এই কাজটা করা খুব কঠিন। এখানে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রতি রাতে আট ঘণ্টা করে ঘুমানো। এমনকি কাজটা করতে হবে টানা এক সপ্তাহ ধরে।

আলোকিত রাঙামাটি