রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২৯ এপ্রিল ২০২১

দুঃসহ সেই স্মৃতি এখনো কাঁদায়

দুঃসহ সেই স্মৃতি এখনো কাঁদায়

ফাইল ছবি


ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ। চট্টগ্রামবাসীর স্বজন হারানোর দিন। ১৯৯১ সালের এ দিনে চট্টগ্রামের উপকূল দিয়ে দুঃস্বপ্নের মতো বয়ে গিয়েছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ‘ম্যারি এন’।

এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা। এছাড়া তলিয়ে গিয়েছিল কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও উখিয়া-টেকনাফের উপকূলীয় এলাকা।

৩০ বছর আগের দুঃসহ সেই স্মৃতি এখনো কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে। প্রতি বছরের ন্যায় আবারো উপকূলীয় মানুষের কাছে ফিরে এসেছে দিনটি। তবে ফিরে আসবে না হারিয়ে যাওয়া স্বজনরা।

২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগের ঘূর্ণিঝড় ও ২৫ থেকে ৩০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা পরিণত হয়েছিল বিরাণভূমিতে।

ভয়াবহ সেই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি হয়েছিল প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষের। যদিও সরকারি হিসেবে সেই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৮ হাজার। সম্পদহানি হয়েছিল চার হাজার কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় ৬০ লাখ মানুষ।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান্নের বাড়ির আবদুস সালাম। প্রলয়ংকরী সেই ঘূর্ণিঝড়ে বেঁচে যাওয়াদের একজন তিনি। ওই রাতে হারিয়েছিলেন মা, স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী সন্তানকে। এমনকি খুঁজে পাননি তাদের লাশও। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ১০-১২ দিন পর কুড়িয়ে পেয়েছিলেন স্ত্রীর এক টুকরো কাপড়।

২০১৯ সালে এসে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে মৃত্যুর আগে স্থায়ী একটি বেড়িবাঁধ দেখার স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন আবদুস সালাম। কিন্তু স্থায়ী বেড়িবাঁধ না দেখেই ওই বছরই পরপারে পাড়ি জমান তিনি।

দিনটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবছর দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এবারো থাকছে না কোনো আয়োজন।

তবে মসজিদ মন্দির ও গির্জায় সীমিত আকারে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে বলে জানান চট্টগ্রামের ডিসি মমিনুর রহমান। জেলার উপকূল রক্ষায় সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোকিত রাঙামাটি