দূর্গম মগবানে কর্মহীন মানুষের মাঝে সদর ইউএনও এর ত্রাণ সহায়তা

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দূর্গমতা নয় কর্মহীন মানুষের হাতে সরকারের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়াটাই হচ্ছে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা। গতকাল রাঙামাটির মগবান ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ের অবস্থিত কর্মহীন পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর পরিবার গুলোর হাতে সরকারের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল দুপুরে মগবান ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে কর্মহীন দুস্থ পরিবার গুলোর হাতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কোন ধরনের জড়তা ছাড়াই রাস্তা থেকে প্রায় ২ থেকে ২৫০ ফুট নিচের পাহাড়ে খাদে বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে যখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিবারের সদস্যদের হাতে ত্রাণ সহায়তা তুলে দেন এ সময় সকলে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে।

এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অর্পণ দেওয়ান, মগবান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা, সদর উপজেলা ত্রাণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা হিরো বড়ুয়া সহ মগবান ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দেশের অন্য জেলা গুলোর মতো রাঙামাটির জনপথ নয়। এ জনপথ হচ্ছে অনেক ভিন্ন একটি পাহাড় থেকে আরেকটি পাহাড় অনেক দুরে দুরে। তাই প্রতিটি কর্মহীন পরিবার যাতে এই ত্রাণ সহায়তা পায় তার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কষ্ট হলেও প্রতিটি বাড়ীর দুয়ারে গিয়ে আমরা ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টায় আছি।

এ সময় ত্রাণ পাওয়া পরিবার গুলো বলেন, আমরা আশা করতে পারিনি এতো কষ্ট করেও একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের বাড়ী বাড়ী খাদ্যশস্য নিয়ে আসবে। আসলে সরকারের এই উদ্যোগ আমরা অনেক খুশি। অনেক দিন কাজে যেতে না পারায় চলতে কষ্ট হচ্ছিল। এখন আমরা ছেলে মেয়েদেরকে ভালো ভাবে দু'বেলা খাবার দিতে পারবো।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা মগবান ইউনিয়নের ৮০০ পরিবারে মাঝে সরকারের ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিটি পাহাড়ী পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকারের এমন উদ্যোগ করোনা মোকাবেলায় অনেক বেশী কাজে আসবে এবং আমরা সরকারের প্রতিটি সাহায্য নিখুঁত ভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দেব। এখন পর্যন্ত ১৪৮ পরিবারকে সাহায্য পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সরকারের সাহায্য এলে আমরা সকলকে জানাবো।

প্রতিটি পরিবারকে ১৫ কেজি চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী দেয়া হয়।