রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দূর্গম রাজস্থলীর পাহাড়ে মোটরবাইক চালিয়ে উপার্জন করেন তারা

দূর্গম রাজস্থলীর পাহাড়ে মোটরবাইক চালিয়ে উপার্জন করেন তারা

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ- এখন শীত কাল। চারিদিকে কুয়াশা, ঠান্ডা বইছে প্রতিনিয়ত। সকাল কিংবা সন্ধা হলেই পাহাড়ের চারপাশের গ্রাম গুলো সাদা কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারিদিক। 

ঠান্ডার ভয়ে অনেকে বাসা থেকে বের হতে চাননা। কিন্তু সকাল হলেই জীবিকার প্রয়োজনে শীতের আড়মোড়া ভেঙে বাহির হতে হয়ে রুটি রোজগারের সন্ধানে। 

তেমনি একজন মোঃ আব্দুল করিম থাকেন উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া এলাকায়। সংসারের অভাবের তারনায় লেখাপড়ায় তেমন এগোতে পারেননি। ৭ম শ্রেণী থেকে ছিটকে পড়েন। তাই অল্প বয়সেই হাল ধরতে হয় পরিবারের। আগে দিন মজুরের কাজ করতেন সেই আয় দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। এখন তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান,আয়ও অনেক ভাল, দিনে আয় করেন ৮০০ টাকা কখনো ১২০০-১৪০০ টাকা। সংসারের সবার চাহিদা মিটিয়ে সঞ্চয়ও করেন তিনি।

দূর্গম রাজস্থলীর এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মটোরবাইক চালাচ্ছেন শতশত মানুষ, কোন ছোট কিংবা বড় গাড়ী যেখানে যেতে পারেনা সেখানে মটোরবাইক যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই দূর্গমতাকে পুঁজি করে মোটরবাইক চালানোকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তার মত অনেক যুবক।

তারা জানান, অভাবের তারনায় লেখাপড়া হতে অনেক আগেই ছিটকে পড়তে হয়েছে তাদের। চায়ের দোকান এখানে সেখানে অনেক কাজ করতে হয়েছে কিন্তু অভাব দূর করতে না পেরে বাইক চালানোর পেশাকে বেছে নিয়েছেন। এখন আগের তুলনায় অনেক ভাল আয় হয়। এভাবে অত্র উপজেলার প্রায় ৫০০ বেকার কর্মসংস্থান হিসেবে নিয়েছেন মোটরসাইকেল চালনাকে। শুধু যুবক নয় কিশোর ও প্রাপ্ত বয়স্করাও আছেন এই পেশায়।

ভাড়া একটু বেশী হলেও কম সময়ে গন্তব্যে পৌছাঁতে যাত্রীরা বিকল্প যান হিসেবে এ মোটরবাইকে চড়তে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।

আলোকিত রাঙামাটি