রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর সাড়ে তিন হাজার মিটার

দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর সাড়ে তিন হাজার মিটার

ছবি: সংগৃহীত


পদ্মাসেতুর ২৩ তম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয়েছে। রোববার সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩১ ও ৩২ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়েছে '৬-এ' নম্বর স্প্যানটি। এর মধ্য দিয়ে সেতুর তিন হাজার ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এ স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানোর কথা থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এদিকে আরো একটি পিলার বা খুঁটির কাজ শেষ করা হয়েছে। এ নিয়ে ৩৭টি পিলারের কাজ শেষ হলো। বাকি পাঁচটি পিলার এপ্রিলের মধ্যেই শেষ করা হবে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। যার ২২টি এরমধ্যে বসে গেছে। রোববার ২৩ তম স্প্যান বসানোর পর আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সবগুলো স্প্যান পিলারের ওপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, গত শুক্রবার পদ্মাসেতুর ২৩ তম স্প্যান বসানোর কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি। রোববার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জাজিরা প্রান্তে উঠেছে ২৩ তম স্প্যানটি। প্রতি মাসেই তিনটি স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও জানুয়ারিতে স্প্যান উঠেছে দুটি। তবে ফেব্রুয়ারিতে এর সংখ্যা বাড়বে।

পদ্মা সেতুর খুঁটির ওপর যে স্প্যানগুলো বসানো হয়েছে, সে স্প্যানের নিচের অংশে এরইমধ্যে এক কিলোমিটারের মতো রেলস্ল্যাব বসে গেছে। আর স্প্যানের ওপর প্রায় ৪০০ মিটার রোডওয়ে স্ল্যাব বা রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৮৫.০৫ শতাংশ। সার্বিক অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ।

আব্দুল কাদের আরো জানান, করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মাসেতুর নির্মাণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। কারণ পদ্মাসেতুতে প্রায় এক হাজার ১০০ চীনা নাগরিক কর্মরত। তাদের মধ্যে চীনা নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ২০০ নাগরিক ছুটিতে গিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে চীনে আটকা পড়েছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা আতঙ্কিত নই। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়