রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৬:৫৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাস এখন বাড়ির সুরক্ষা দেয়াল

দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাস এখন বাড়ির সুরক্ষা দেয়াল

ক্যাকটাসে ঢাকা খাগড়াছড়ির বাবুরাম মারমার বাড়ি


খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি ইউনিয়নের কাপ্তাইপাড়ার বাবুরাম মারমা। অনেক বছর আগে বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে চারপাশে লাগিয়েছিলেন ক্যাকটাস গাছ। সেই গাছগুলো এখন বড় হয়েছে। সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ির সুরক্ষা দেয়াল হিসেবেও কাজ করছে দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাস গাছগুলো।

বাবুরাম মারমার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখ আটকে যায় মানুষের। মুগ্ধ হয়ে ক্যাকটাসের সৌন্দর্য উপভোগ করে সবাই।

বাবুরাম মারমা বলেন, ১৮-২০ বছর আগে ক্যাকটাস গাছগুলো লাগিয়েছি। এগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। গাছগুলোর কারণে এখন আমার বাড়ির সীমানায় দেয়াল দিতে হয় না। ক্যাকতাস গাছগুলো সৌন্দর্য বাড়িয়েছে পাশাপাশি বাড়ির দেয়ালের কাজও করছে।

 

বাবুরাম মারমার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মুগ্ধ হয়ে ক্যাকটাসের সৌন্দর্য উপভোগ করে সবাই

 

বাবুরামের স্ত্রী রামবাই মারমা বলেন, আমার বিয়ের পর এই বাড়ি বানিয়েছি। এরপর ক্যাকটাসে বিজ এনে বাড়ির চারপাশে লাগিয়েছি। এখন গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। চারপাশ ঢেকে গেছে ক্যাকটাস গাছে। এখন বাড়ির যেদিকে তাকাই গাছগুলো দেখতে পাই।

বাবুরামের মেয়ে থৈয়ংরী মারমা বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই ক্যাকটাস গাছগুলো দেখছি। আমার বাবা অনেক আগে গাছগুলো লাগিয়েছেন। এখন এই ক্যাকটাস আমাদের বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি সীমানা দেয়ালের কাজে লেগেছে। ক্যাকটাস গাছগুলো মূল সড়কের পাশে হওয়ায় মানুষ আসা-যাওয়ার সময় এগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ক্যাকটাস চাষের জন্য মাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা অন্যান্য গাছের তুলনায় একেবারেই আলাদা। পারলাইট বা দো-আশঁ মাটির মিশ্রন এক্ষেত্রে ভালো। ক্যাকটাসের চারা বা বীজ এপ্রিল-মে মাসে বপন করলে ভাল। ক্যাকটাস গাছের তেমন কোনো রোগ বালাই হয় না। তবে অতিরিক্ত পানি দিলে ছত্রাকের আক্রমণ হয়ে গাছটি পচে মারা যেতে পারে। ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সামান্য ছত্রাকনাশক গাছে স্প্রে করা যেতে পারে।

ক্যাকটাস চাষের জন্য সময় মতো ও সঠিক পরিমাণ পানি দেয়া খুবই প্রয়োজনীয়। কম পানি দিলে ক্যাকটাসের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। আবার বেশি পানি দিলে মূল পচে গাছ মারা যেতে পারে। পানির পরিমাণ ও প্রয়োগ বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হয়। ক্যাকটাসে শীতকালে পানি দেয়ার দরকার হয় না। তবে যদি মূল শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে মাসে ১-২ বার পানি দেয়া যেতে পারে। বছরের অন্যান্য সময়ে সপ্তাহে একবার পানি দিতে হয়।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়