রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ , ৯ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ১৪ জুন ২০২১

দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত আরেক রোগী শনাক্ত

দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত আরেক রোগী শনাক্ত

দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত আরো একজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি খুলনায়। তিনি এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. ফরহাদ হাছান চৌধুরী মারুফ জানান, এই রোগী কোভিড-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে আমাদের ইউনিটে ভর্তি হন সপ্তাহ খানেক আগে। উনার মাথাব্যথা, সাইনোসাইটিস এবং ডান চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছিল। আমি তাকে ফাঙ্গাল ইনফেকশন সন্দেহ করি এবং নাক কান গলা বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে সাইনাস অপারেশন করি। তারপর ওখানকার স্যাম্পল নিয়ে ফাঙ্গাস টেস্ট করতে দিই। 

তিনি বলেন, রোগীর হিস্টোপ্যাথলজি, মাইক্রোস্কোপি আর কালচার তিনটাতেই মিউকর মাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে রোগীর এম্ফোটেরিসিন-বি দিয়ে চিকিৎসা চলছে। 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দেশে আগে থেকেই ছিল। গোবরে, আকাশে, বাতাসে ছত্রাকটি আছে। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন স্থানে থাকলে এটা হতে পারে। খুবই ছোঁয়াচে একটা রোগ এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এতে আক্রান্ত হলে মৃত্যুহার ৫০ থেকে ৫৪ শতাংশ। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সতর্ক থাকতে হবে। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারেন। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আইসিইউতে এই ওষুধ বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সার রোগী, কিডনি রোগী ও এইডস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। করোনার আক্রান্ত রোগীর ওপর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বেশি প্রয়োগ করা হয়। তাই করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে বাড়ে সেই জন্য ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে।

এর আগে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এমন দুজনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (কালো ছত্রাক) শনাক্ত হয়। গত ৮ মে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে ছত্রাকটির সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক জনের শরীরেও রোগটি পাওয়া যায়।

আলোকিত রাঙামাটি