রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলোকিত রাঙ্গামাটিঃ-

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ বান্দরবানে, উচ্চতা ৩২৯৮ ফুট!

দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ বান্দরবানে, উচ্চতা ৩২৯৮ ফুট!

থানচিতে নতুন আবিষ্কৃত পর্বত শৃঙ্গ


দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের সন্ধান মিলেছে বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি মৌজায়। এর উচ্চতা তিন হাজার ২৯৮ ফুট। এর নাম রাখা হয়েছে ‘আইয়াং ত্নং’।

এছাড়া আবিষ্কৃত হয়েছে তিন হাজার ৩৪৫ ফুট এবং তিন হাজার ২২২ ফুটের আরো দুটি পর্বত শৃঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলোর নাম ‘জো-ত্নং’ ও ‘যোগী হাফং’।

জানা গেছে, রেমক্রি মৌজার দালিয়ান পাড়ার ‘ভান রউসান বম’ প্রথম ‘আইয়াং ত্নং’ এর সন্ধান পান। পর্বতারোহী প্রকোশলী জোতির্ময় ধর ১৩ নভেম্বর প্রথম বাঙালি হিসেবে এ পাহাড়ের উচ্চতা পরিমাপ করেন তিন হাজার ২৯৮ ফুট। বাংলায় এ শৃঙ্গের নামকরণ করা হয়েছে ‘রিনির চূড়া’।

প্রকৌশলী জোর্তিময় বলেন, এ মাসের শুরুতে প্রকৃতিবিদ ডা. অরুণাভ চৌধুরী এক অদ্ভুত তথ্য দিলেন। কেওক্রাডং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নয়। এর চেয়েও উঁচু আরো চারটি শৃঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে। সেগুলো হলো সাকা হাফং (৩৪৭১ ফুট), জো-ত্নং (৩৩৪৫ ফুট), দুম্লং (৩৩১০ ফুট) এবং যোগী হাফং (৩২২২ ফুট)। 

তিনি বলেন, এ শৃঙ্গগুলোর বেশিরভাগের অবস্থান বান্দরবানেরর থানচি ও রুমা উপজেলায়। আমি দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে একে একে সবগুলো পাহাড়ে অভিযান চালাই। জিপিএস দিয়ে দুইবার পরিমাপ করে নিশ্চিত হলাম আইয়াং ত্নং-এর উচ্চতা তিন হাজার ২৯৮ ফুট। কয়েকটা ছবি তুলে সেখানে উড়িয়ে দিলাম লাল সবুজের পতাকা। 

প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় বলেন, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে, আমি প্রথম বাঙালি হিসেবে পা রাখলাম দেশের একটি অদ্ভুত-অনাবিষ্কৃত-অপরিচিত পাহাড় চূড়ায়। লিখলাম সামিট নোট। পরদিন বম সম্প্রদায়ের হেডম্যান আমার নামে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। যে, প্রথম বাঙালি হিসেবে আমিই “আইয়াং ত্নং” জয় করেছি এবং এটার নাম রিনির চূড়া। নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে রিপোর্ট করা হলো। তারাও আমার এই সামিট রেকর্ডবুকে লিখে রাখলেন। আমি এ অভিযান উৎসর্গ করেছি আমার একজন প্রিয় মানুষকে এবং তার নাম অনুসারে বাংলায় এ শৃঙ্গের নাম দিয়েছি ‘রিনির চূড়া’।

আলোকিত রাঙামাটি