রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ২৪ জুন ২০২০

‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’ মেসি

‘দ্য ম্যাজিশিয়ান’ মেসি

লিওনেল মেসি (ছবি: ওয়ার্ল্ড কাপ)


সময়টা ১৮৮৩ সাল। ইতালির আকানা শহরে বাস করতেন অ্যাঞ্জেলো মেসি নামের এক ব্যক্তি। হঠাৎ কি ভাবলেন, সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে চলে এলেন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে। এরপর এখানেই নিয়মিত থাকতে শুরু করলেন। তখনও অ্যাঞ্জেলো জানতেন না, এখানেই তার বংশে জন্ম নেবে পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে থাকা ব্যক্তিদের একজন। 

রোজারিওতে এক স্টিল কারখানায় কাজ করতেন অ্যাঞ্জেলো মেসির উত্তরসূরি হোর্হে জোরাসিও মেসি। তার স্ত্রী সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি কাজ করেন পার্ট টাইম ক্লিনার হিসেবে। দুজনে মিলে যা আয় করতেন তা দিয়ে কোনোভাবে সংসার চলে যেত। ১৯৮৭ সালের ২৪শে জুন এই দম্পতির কোল আলো করে আসেন পরিবারের তৃতীয় সদস্য। বাবা-মা আদর করে নাম রাখেন লিওনেল আন্দ্রেস ‘লিও’ মেসি কুচ্চিত্তিনি। বড় হওয়ার পর নিজ প্রতিভার আলো ছড়িয়ে এই শিশুই সারাবিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠেন এক নামে, ‘লিওনেল মেসি’।

 

ছোট্ট মেসি

 

ছোট থেকেই ফুটবল হয়ে ওঠে মেসির ধ্যানজ্ঞান। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন মেসি। এই দলের কোচ ছিলেন তার বাবা হোর্হে। অল্প সময়েই দলের গুরুত্বপুর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন মেসি। গোল করে আর করিয়ে খুব শিগগিরই আশেপাশে পরিচিতি পেয়ে যান। ১৯৯৫ সালে আট বছর বয়সে স্থানীয় ক্লাব নিওয়েলস ওল্ড বয়েজে যোগ দেন লিও। সে সময় কেউ খুব ভালো খেললে জন্মসাল হিসেবে বিশেষ ‘উপাধি’ নাম দেয়া হত। গোলমেশিন হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠায় তখন মেসির নাম দেয়া হয় ‘দ্য মেশিন অফ ৮৭’। 

ইউরোপ থেকে প্রায়ই বিভিন্ন ক্লাবের স্কাউটরা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে প্রতিভা খুঁজে থাকেন। প্রতিভার আলো ছড়ানো মেসি ততদিনে আশেপাশে পরিচিত এক মুখ। কিন্তু ১১ বছর না যেতেই বাঁধে বিপত্তি। লিওর গ্রোথ হরমোনে সমস্যা দেখা দেয়ায় তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকায় পড়েন বাবা-মা। স্থানীয় ক্লাব রিভারপ্লেট শুরুতে মেসির প্রতি আগ্রহ দেখালেও তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। সৃষ্টিকর্তা হয়তো এভাবেই চিত্রনাট্য লিখে রেখেছিলেন কারণ এই সময়েই বার্সেলোনার স্কাউটদের নজরে পড়েন তিনি।

 

ন্যাপকিনে লেখা চুক্তিপত্র

 

বার্সার তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাচ মেসির খেলা দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়ে পড়েন যে তখনই চুক্তি সেরে ফেলতে চান। চিকিৎসার খরচ হিসেবে সেসময় মাসে ৯০০ মার্কিন ডলার বহন করতেও রাজি হয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চুক্তি করতে গিয়ে দেখা যায় হাতের কাছে কোনো কাগজ নেই। রেক্সাচ এতটাই উদগ্রীব ছিলেন যে কাছে থাকা ন্যাপকিন পেপারেই মেসির বাবার সঙ্গে তাৎক্ষণিক চুক্তি সম্পন্ন করেন। 

এরপর বাবার সঙ্গে মহাসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের বার্সেলোনা শহরে পাড়ি জমান লিওনেল মেসি। যোগ দেন বার্সেলোনার যুব একাডেমী লা মাসিয়াতে। শুরু হয় দ্য ম্যাজিশিয়ানের নতুন করে পথচলা। 

২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনা যুব একাডেমীর তিন দল ইনফান্তিল বি, কাদেতে বি ও কাদেতে এ দলে খেলেন মেসি।  শেষোক্ত দলের হয়ে খেলার সময় মাত্র ৩০ ম্যাচে ৩৭ গোল করেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সের পরেও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে ক্লাব থেকে মেসিকে প্রায় ছেড়ে দিতে চেয়েছিল বার্সা কর্তৃপক্ষ। তবে যুব দলের প্রশিক্ষণ কর্মীদের জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত তাকে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিষদ। 

 

বার্সেলোনায় অভিষেকের সময় মেসি

 

পরের মৌসুমে (২০০৩-০৪) পাঁচটি আলাদা দলে খেলেন মেসি, যা একটি রেকর্ড। প্রথমে হুভেনিল বি দলে খেলেন মেসি, সেখানে করেন এক গোল। এরপর হুভেনিল এ দলে ১৪ খেলায় ২১টি গোল করেন তরুণ মেসি। ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বরে বার্সেলোনা সি (তের্সেরা দিভিসিওন) দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর ২০০৪ সালের ৬ মার্চ অভিষেক হয় বার্সেলোনা বি (সেহুন্দা দিভিসিওন) দলে। এই দুই দলে অভিষেকের পূর্বে ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর পোর্তোর বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে মেসির দাপ্তরিক অভিষেক হয়। তার বয়স তখন ১৬ বছর ১৪৫ দিন।

দারুণ খেলতে থাকায় ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর স্প্যানিশ লা লগায় এস্পানিওলের বিপক্ষে মেসির অভিষেক হয়। বার্সেলোনার ইতিহাসে তৃতীয় কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন তিনি। সেসময় মেসির বয়স ছিল ১৭ বছর ১১৪ দিন। কাতালানদের হয়ে ২০০৫ সালের ১ মে প্রথমবার গোলের দেখা পান মেসি। আলবাসেতের বিপক্ষে এই গোল করার মাধ্যমে বার্সেলোনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় গোল করার রেকর্ড করেন তিনি। অবশ্য কয়েক বছর পর বোয়ান কিরকিচ মেসির এই রেকর্ডটি নিজের করে নেন। মজার বিষয় বোয়ানের এই গোলে এসিস্ট করেছিলেন মেসিই। 

সেসময়ের উঠতি তারকা মেসিকে সহজে ছাড়তে চায়নি বার্সেলোনা। ফলে ২০০৫ সালেই  দশ বছরের জন্য চুক্তি করে ক্লাবটি। মূল দলের খেলোয়াড় হিসেবে এসময় মেসির পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়। এর পাশাপাশি স্পেনের নাগরিকত্ব পান তিনি।

 

বিশ্বকাপে প্রথম গোল করার পর মেসি

 

আর্জেন্টাইন-স্প্যানিশ নাগরিক হিসেবে মেসিকে নিজেদের যুব দলে খেলার আমন্ত্রণ জানায় স্পেন। তবে মেসি সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার আশা ব্যক্ত করেন। এরপর ২০০৫ সালে দক্ষিন আমেরিকার যুব চ্যাম্পিয়নশীপে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেন মেসি। সেবার আর্জেন্টিনা তৃতীয় হয়। একই বছর অনুষ্ঠিত ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশীপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়। ছয়টি গোল করে সেই প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল এবং গোল্ডেন বুটের পুরস্কার জেতেন মেসি।

দারুণ খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলে ডাক পান মেসি। তবে ইনজুরির কারণে তার সেই বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। আইভরি কোস্টের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি মেসি। পরের ম্যাচে সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে খেলার ৭৪তম মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। নামার পরই হার্নান ক্রেসপোর একটি গোলে সহায়তা করেন মেসি। ৮৮তম মিনিটে নিজেও করেন একটি গোল। এর মাধ্যমে আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ এবং ইতিহাসের ষষ্ঠ কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেন মেসি। সে ম্যাচে ৬–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে আর্জেন্টিনা। ২০০৬ বিশ্বকাপে মেসি এই একটিই গোল করেন। 

বিশ্বকাপ শেষে বার্সেলোনার হয়ে নিজেকে আরো মেলে ধরেন মেসি। বল পায়ে অসাধারন প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে ‘নতুন ম্যারাডোনা’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। এমনকি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম তাকে ‘মেসিডোনা’ উপাধিতে ভূষিত করে। ২০০৭ সালে স্পেনের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম মার্কার অনলাইন জরিপে ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন বার্সা তারকা। সে বছরের ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরষ্কারে তৃতীয় হন মেসি। এছাড়া ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরষ্কারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।

 

নিজের ব্যালন ডি`অর ট্রফিগুলোর সঙ্গে মেসি

 

অবশ্য পরের বছরই আক্ষেপ ঘোচান লিওনেল মেসি, জেতেন ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব। সেই থেকে এখন পর্যন্ত রেকর্ড ছয়বার ব্যালন ডি’অর জয় করেছেন বার্সা সুপারস্টার। এর মধ্যে চারটি জিতেছেন টানা চার বছরে, যা একটি রেকর্ড। এসবের পাশাপাশি রেকর্ড ছয়বার ইউরোপীয় গোল্ডেন শু-ও জিতেছেন তিনি। ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব অর্জনের পাশাপাশি ২০১৯ সালে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ এওয়ার্ডও জিতেছেন মেসি। 

২০০৯ সালে ফিফা ব্যালন ডি’অরের ইতিহাসে এক অভিনব রেকর্ড গড়েন এই আর্জেন্টাইন তারকা। সেবার ৪৭৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন মেসি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পয়েন্ট ছিল ২৩৩। এটি ছিল ব্যালন ডি’অরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। সেই বছরই মেসি আইএফএফএইচএস  বর্ষসেরা প্লেমেকার পুরস্কারে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।

ম্যারাডোনার কোচিংয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ খেলতে যায় আর্জেন্টিনা। সেবারই প্রথম আলবিসেলেস্তেদের হয়ে বড় কোনো প্রতিযোগিতায় ১০ নম্বর জার্সি পড়ে খেলতে নামেন মেসি। এই বিশ্বকাপে মূলত প্লে-মেকার হিসেবে মেসিকে খেলিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে কোরিয়া রিপাবলিকের বিপক্ষে ৪–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে প্রতিটি গোলেই মেসির ভূমিকা ছিল। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে গ্রীসের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় লাভ করা ম্যাচে গোল না করেও ম্যাচসেরা হন মেসি। উল্লেখ্য, এই ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে মেসির অভিষেক হয়। 

 

২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে মেসি

 

এই বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। তবে দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিযোগিতার গোল্ডেন বল পুরস্কারের জন্য ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পান মেসি। তার ব্যাপারে ফিফার টেকনিক্যাল গবেষণা দল মন্তব্য করে, ‘অসাধারন গতির পাশাপাশি দলের জন্য সৃজনশীলতার দিক থেকে মেসি অনন্য। এছাড়া ড্রিবলিং, শুটিং, পাসিং এ সবগুলোতেই তিনি দক্ষ এবং দর্শনীয়।’

মেসির ক্যারিয়ারে একইসঙ্গে স্মরণীয় ও আক্ষেপের আসর ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ। এই আসরে প্রতিটি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে ফাইনালে তোলেন তিনি। তবে ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে (১১২ মিনিট) গোল খেয়ে স্বপ্নভঙ্গে জর্জরিত হন এই তারকা। অবশ্য এই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। 

সবশেষ ২০১৮ বিশ্বকাপে দারুণ প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে গেলেও নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি মেসির আর্জেন্টিনা। কোনোভাবে গ্রুপপর্ব পেরোতে পারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের কাছে হেরে আকাশী-নীলদের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়। এই আসরে তুলনামূলক ব্যর্থ ছিলেন মেসি। 

 

পরিবারের সঙ্গে মেসি

 

২০০৯ সালে শৈশবের বান্ধবী আন্তোনেলা রোকুজ্জোকে বিয়ে করেন মেসি। তাদের কোল আলো করে এখন পর্যন্ত তিন সন্তান পৃথিবীতে এসেছে। ব্যক্তি জীবনে মেসি শুধু খেলা ও পরিবার নিয়েই ব্যস্ত নন, বরং সামাজিক দায়বদ্ধতা উপলব্ধি করে ইউনিসেফ-এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এছাড়া শিশুদের শিক্ষা ও খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করতে নিজের দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করছেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেখান থেকে অবদান রাখছেন নিজ দেশ আর্জেন্টিনার চিকিৎসা ক্ষেত্রেও।

পেশাদার জীবনে বার্সেলোনায় হয়ে মোট ৩৪টি শিরোপা জিতেছেন লিওনেল মেসি। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি লা লিগা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ৬টি কোপা দেল রে। গোলদাতা হিসেবে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন মেসি। লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৫০), এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল (৯১), এল ক্ল্যাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল (২৬),ইউরোপে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৭৩) এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের (৮) রেকর্ড করেছেন মেসি। লা লিগার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও এই বার্সা স্ট্রাইকারের দখলে (৪৪০টি)*। 

 

গোল উদযাপন করছেন লিওনেল মেসি

 

শুধু গোল করেই ক্ষান্ত নন মেসি। একজন সৃষ্টিশীল প্লেমেকার হিসেবেও সেরা তিনি। লা লিগা এবং কোপা আমেরিকার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাকারীর রেকর্ডের মালিক এই আর্জেন্টাইন তারকা। পেশাদার ফুটবলে জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি ৬৯৯টি* গোল করেছেন।

অনেকের মতে বর্তমান কালের সেরা তো বটেই, সর্বকালের সেরা একজন ফুটবলার মেসি। তাকে ‘দ্য গোট’ (গ্রেটেস্ট অব অল টাইম) নামেও ডাকা হয়। এছাড়া ফুটবল মাঠে পায়ের জাদু ছড়িয়ে ম্যাজিশিয়ান হিসেবেও আখ্যা পেয়েছেন এই তারকা। 

তবে ক্যারিয়ারজুড়ে অসংখ্য গোল ও রেকর্ড করা মেসির রয়ে গেছে বিশাল এক অতৃপ্তি। এখনো বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদ পাননি তিনি। বাস্তবতা বিচারে তার সামনে এই আক্ষেপ ঘোচানোর শেষ সুযোগ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ। সেবারই সোনার ট্রফি হাতে উচ্ছ্বাসে মাতবেন তিনি, দ্য ম্যাজিশিয়ানের জন্মদিনে এটাই কামনা। 

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ