রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

পর্যটক নিয়ে ছন্দে ফিরছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো

পর্যটক নিয়ে ছন্দে ফিরছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো

ফাইল ছবি


দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি থাকার পর খুলতে শুরু করেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অপরদিকে টানা কয়েক মাসের এই বন্দিদশা কাটাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন পর্যটকরা। যেন বুকভরে শ্বাস নিতে খোলা হাওয়ার দিকে ছুটছেন তারা। আর ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো।

এরই মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভিড় করছে বহু মানুষ। কুয়াকাটাও সাগরপ্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়েছে। পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝরনার সৌন্দর্য, কাপ্তাই লেকের শোভা উপভোগ করতে রাঙামাটিতে বাড়ছে মানুষের আনাগোনা। হাওরাঞ্চলে ছুটছে অনেকে। চা বাগান আর পাহাড়ের টানে হবিগঞ্জে যাচ্ছে পর্যটকরা। তবে প্রশাসনের কড়াকড়িতে এখনো সেভাবে গতি ফেরেনি সিলেটের পর্যটনে।

কক্সবাজার: টানা পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার পুরনো কোলাহলময় আবহে ফিরতে শুরু করেছে। ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৭ আগস্ট কক্সবাজার ভ্রমণে প্রশাসনের বিধি-নিষেধ ছিল। 

 

কক্সবাজার

 

বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ায় করোনাভীতির মধ্যেও বাড়ছে ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি। হাসি ফুটতে শুরু করেছে সাগরপারের ব্যবসায়ীদের মুখে। হোটেল-রেস্তোরাঁর খরা কাটতে শুরু করেছে।

কুয়াকাটা: সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের শোভা উপভোগ করতে আবার কুয়াকাটায় ভিড় করছে সৌন্দর্যপিপাসুরা। গঙ্গামতিচর, ঝাউবন, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধবিহার পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হচ্ছে। দুপুরে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটক সাগরে নেমে শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছে।

 

কুয়াকাটা

 

বিশেষ করে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পর্যটকে সয়লাব হয়ে পড়ছে কুয়াকাটার দর্শনীয় স্পটগুলো। ১ জুলাই থেকে কুয়াকাটা পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এর পর থেকে পর্যটকের আগমন বাড়ছে।

রাঙামাটি: টানা ছয় মাস বন্ধ থাকার পর সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র। স্বাস্থ্যবিধি মানার সাতটি শর্তে সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট-হোটেল-মোটেল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন।

 

কাপ্তাই

 

পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে পর্যটননির্ভর পাহাড়ের এই জনপদে। এত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন হোটেল মালিকরা।

খাগড়াছড়ি: ২৮ আগস্ট থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ির অন্যতম প্রধান চারটি পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার খবরে স্থানীয়দের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি ভ্রমণে যাচ্ছেন পর্যটকরা। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় বুকিং বেড়েছে হোটেল-মোটেলগুলোতে। অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে স্থানীয় চাঁদের গাড়ির চালকদেরও।

 

খাগড়াছড়ি

 

তবে দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি শর্ত বেধে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে স্যানিটাইজার অথবা সাবান দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, অসুস্থ অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অন্যতম।

বান্দরবান: স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৭ আগস্ট থেকে বান্দরবানে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যটনকেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেল খুলে দেয়া হয়েছে।

 

বান্দরবান

 

জেলা প্রশাসনের এই নির্দেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পর্যটন খুলে দেয়ার হোটেল মোটেলে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সিলেট: সবুজে মোড়ানো বহু চা বাগান ছাড়াও জাফলং, রাতারগুল ও বিছানাকান্দি, সাদাপাথর, শ্রীপুর, মায়াবী ঝরনা, লালাখাল, জৈন্তাবাড়িসহ বহু পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থান সিলেটে।

 

রাতারগুল

 

আরো আছে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজার। কিন্তু সব স্থান এখনো পর্যটক শুন্য। 

হবিগঞ্জ: এ জেলার পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। তবে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। জেলার ২৪টি চা বাগান, তিনটি রাবার বাগান, হাওর, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা জাতীয় উদ্যান, খাসিয়া পুঞ্জি, গ্রিনল্যান্ড পার্ক, শাহজীবাজার ফ্রুটস ভ্যালি, সাগরি দিঘি, মহাগ্রাম বানিয়াচং, সিপাহসালার সৈয়দ নাছির উদ্দিনের মাজারসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতি আশানুরূপ বাড়ছে।

 

বিথঙ্গল আখড়া হাওড়, হবিগঞ্জ

 

এছাড়া কালারডোবা থেকে নৌকা নিয়ে হাওর ভ্রমণ এবং স্পিডবোট ভ্রমণে আসছে হাজারো মানুষ।

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ