রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ৭ মে ২০২১

পাঁচ জেলায় সেচ সুবিধা সম্প্রসারণে ২৫০ কোটির প্রকল্প

পাঁচ জেলায় সেচ সুবিধা সম্প্রসারণে ২৫০ কোটির প্রকল্প

বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে নদী-খালের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ২৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।

এ প্রকল্পের আওতায় রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার ৩৫টি উপজেলা সেচ সম্প্রসারণ সুবিধার আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান।

তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় পুনঃখননের মাধ্যমে রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটের ৩৫টি উপজেলার বিভিন্ন পরিত্যক্ত খাল, বিল, পুকুরের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। পাঁচ বছরে ২৩০ কিলোমিটার খাল, ১১টি বিল, ১১৮টি পুকুর পুনঃখনন করে সঞ্চিত ও ধারণকৃত পানির সাহায্যে প্রায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ১৩০টি এলএলপিতে ১৩০ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ করে সেচের পানির অপচয় রোধের মাধ্যমে কৃষকের সেচ ব্যয় হ্রাস ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।

প্রকল্প পরিচালক জানান, বিদ্যমান জলাবদ্ধতা দূর করে আরো ৩৫০ হেক্টর অনাবাদি পরিত্যক্ত জমি চাষের উপযোগী করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এ প্রকল্পের আওতায় সৌরশক্তি চালিত পাতকুয়া খননের মাধ্যমে স্বল্প পানিগ্রাহী ফসল, সবজি উৎপাদনের ব্যবস্থা করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন নিশ্চিত করা হবে। কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প এলাকায় ২ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন সৌরশক্তি চালিত এলএলপি ৩০টি, বিদ্যুৎ চালিত এলএলপি ১০০টি, সৌরশক্তি চালিত ৫০টি পাতকুয়া খননের মাধ্যমে স্বল্প পানিগ্রাহী ফসল উৎপাদনের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।

 

রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে নদী-খালের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ২৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)

রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে নদী-খালের পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ২৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)

তিনি আরো জানান, এ প্রকল্পের আওতায় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলায় দুই লাখ ৩০ হাজার বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ এবং ওষধি গাছের চারা রোপণ করে পরিবেশ বান্ধব ভূ-কাঠামো গড়ে তোলাসহ অতিরিক্ত বনজ সম্পদ সৃষ্টি এবং পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালনসহ পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১০টি নিজস্ব বিভাগীয়, রিজিওনাল এবং জোনাল অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে।

বিএমডিএ সূত্র জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে এসব জেলায় প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের আওতায় মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ, নাগেশ্বরী উপজেলার দুটি বিল ও ১২টি পুকুর খনন, ১০টি বিদ্যুৎ চালিত, ১০টি সৌরশক্তি চালিত এলএলপি স্থাপন, ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ২০টি ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ, ১০টি পাতকুয়া নির্মাণ, ৪০ হাজার বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ এবং ওষধি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫০০ হেক্টর অনাবাদি জমি এরই মধ্যে সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। অবশিষ্ট কাজ জুন মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এছাড়া দুই জেলায় তিনটি অফিস ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।

বিএমডিএ জানিয়েছে, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সৌরশক্তি চালিত ৮০টি সেচযন্ত্র স্থাপনের ফলে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মাধ্যমে সেচ কাজে পরিবেশবান্ধব আবহ সৃষ্টি এবং বিদ্যুতের ওপর চাপ হ্রাস পাবে। পানির অপচয় রোধ, সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ব্যয় হ্রাস পাবে। এর ফলে ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’র অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখাসহ ২০৩০ সালের মধ্যে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ৩০ শতাংশ উন্নীত করা সহজ হবে।

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ