রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ , ২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৪:০১, ২২ নভেম্বর ২০২০

পাঁচ দশকে ১০৫ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে ব্রি

পাঁচ দশকে ১০৫ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে ব্রি
  • টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা বৃদ্ধি
  • ডিসেম্বরে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

দেশে এখন আর খাদ্যের অভাব নেই। দেশ থেকে খাদ্যাভাব দূর করতে জোরালো ভূমিকা রাখছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির চলতি বছরে অক্টোবরে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে ব্রি ৫০ বছর হিসেবে সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রি গত পাঁচ দশকে ১০৫টি ধানের জাত উদ্ভাবন করে অবদান রাখছে খাদ্য নিরাপত্তায়। ফলে দেশে, এখন ভাতের কোন অভাব নেই। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। তবে জনবল নিয়ে ধুকছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরু হওয়া জনবল নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে ৫০ বছর ধরেই। তাই কৃষি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন জলবায়ুর পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজন ব্রির সক্ষমতা বৃদ্ধি করার কথা।

একাধিক তথ্যে জানা গেছে, একটা সময় এ দেশে অভাব ছিল সীমাহীন, জনসংখ্যার বিপরীতে খাদ্য উৎপাদন ছিল অপ্রতুল। এমনকি স্বাধীনতার প্রথম দশকেও অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। ১৯৭০-৭১ সালে দেশের সাত কোটি বার লক্ষ জনসংখ্যার বিপরীতে চাল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ মেট্রিক টন মাত্র। কিন্তু ২০১৯-২০ সালে এসে প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে খাদ্য উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৮৭ লক্ষ মেট্রিক টন। অথচ আবাদি জমির পরিমাণ প্রতিবছর কমছে। ব্রি’র গবেষণালব্ধ জাত ও প্রযুক্তির ব্যবহার করার ফলেই দুর্ভিক্ষ এদেশ থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, গত কয়েকদশকে কৃষি খাতে যে রূপান্তর ঘটেছে তার নেতৃত্বে ছিল ব্রি। পাঁচ দশকে শতাধিকের ধানের জাত উদ্ভাবন করে অবদান রেখে চলেছে খাদ্যনিরাপত্তায়। তবে ব্রি’র জনবল কাঠামোতে ধুকছে বলেও জানা গেছে। ব্রি’র যাত্রালগ্ন থেকে সর্বমোট ৬৭৩ জন জনবল (যার মাত্র ২৪৯ জন গবেষক) দ্বারা এখন পর্যন্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

এদিকে, ব্রির এই ৫০ বছর অনুষ্ঠানটি স্বরণীয় করে রাখতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন। যা ডিসেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনও তারিখ ঠিক করা হয়নি। ব্রি’র কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জনকণ্ঠকে বলেন, ব্রিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। আমরা ধীরে ধীরে এগুচ্ছি। উৎপাদনশীলতা না বাড়ালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। আর এক্ষেত্রে ব্রি ভাল কাজ করছে। আমরাও ব্রি নিয়ে কাজ করছি। সামনে জনবলসহ আরও অনান্য কার্যক্রম শক্তিশালী হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায় ব্রি বর্তমান মহাপরিচালক ড. মোঃ শাজাহান কবীর দক্ষ হাতে এই প্রতিষ্ঠানকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শাজাহান কবীর জনকণ্ঠকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। সোনার এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনালী ফসলে ভরপুর দেখতে চেয়েছিলেন। তাই স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথমেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন কৃষির ওপর। উপলব্ধি করেছিলেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে খাদ্যে উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। সে কারণেই স্বাধীনতার পর তিনি ডাক দিয়েছেন সবুুজ বিপ্লবের। দেশে ধান গবেষণার গুরুত্ব অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইন পাসের মাধ্যমে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেন এবং শুরু হয় ধানের ওপর নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর ঘোষিত ‘সবুজ বিপ্লব’ কর্মসূচীও থমকে যায়। তবে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকারে এলে বঙ্গবন্ধুর সবুজ বিপ্লবের ধারণা নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। ব্রি মহাপরিচালক আরও বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেন তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৬ লক্ষ মেট্রিক টন। ব্রি কর্তৃক উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত ও আনুষঙ্গিক লাগসই চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং কৃষক পর্যায়ে এসব প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে ২০১৩ সালে এসে দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি, খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়। এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত চাল বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে এখন কিছু চাল বিদেশেও রফতানি করা যাচ্ছে। বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে খাদ্য উৎপাদনে আমাদের এই সাফল্য বহির্বিশে^র কাছে এক মিরাকেল ঘটনা মনে হলেও খাদ্য উৎপাদনে এই অসামান্য অর্জন সম্ভব হয়েছে ব্রি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত ও আনুষঙ্গিক লাগসই চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং কৃষক পর্যায়ে এসব প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে। ব্রি থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৭০ সাল হতে এ পর্যন্ত ৯৮টি উচ্চফলনশীল এবং ৭টি হাইব্রিড ধানের জাতসহ মোট ১০৫টি ধানের জাত ও ধান চাষের দু’শতাধিক আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। প্রতিকূল পরিবেশ সহনশীল ও পুষ্টিগুণ বিচারে ব্রি উদ্ভাবিত ৯৮টি ইনব্রিড জাতের মধ্যে ১২টি লবণ সহনশীল, ৩টি জলমগ্নতা সহিষ্ণু, ২টি ঠাণ্ডা সহিষ্ণু, ৭টি খরা সহনশীল, ১টি খরা প্রতিরোধকারী, ৫টি জিঙ্ক সমৃদ্ধ এবং সুগন্ধি ও রফতানি উপযোগী ৯টি ধানের জাত রয়েছে। বর্তমানে আবাদকৃত ধানের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ জমিতে ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাতসমূহের আবাদ করা হচ্ছে এবং এ থেকে পাওয়া যাচ্ছে দেশের মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৯১ ভাগ। ব্রি দেশের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটি রাইস (সুগন্ধি চাল), বায়োফর্টিফাইড রাইস (পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ চাল), গোল্ডেন রাইস (বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ চাল) উদ্ভাবন করেছে। তাছাড়া ব্রি ইতোমধ্যে বোরো মৌসুমের জন্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটির জাত ব্রি ধান ৫০ উদ্ভাবন করছে যা সর্বসাধারণের কাছে এই চাল গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে, এমনকি এই চাল রফতানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। ব্রি বিজ্ঞানীরা জনকণ্ঠকে বলেন, এসডিজি কে সামনে রেখে ব্রি বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে ৫টি জিঙ্ক সমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবন করেছে, পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেমন- প্রোটিন, আয়রন, এন্টি-অক্সিডেন্ট, গাবা ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ জাতসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর ধান উদ্ভাবন করেছে।

বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্রি ইতোমধ্যে রাইস ভিশন-২০৫০ প্রণয়ন করেছে যা থেকে দেখা যায় ২০৩০, ২০৪১ এবং ২০৫০ সালে যথাক্রমে ১৮৬, ২০৩ এবং ২১৫ মিলিয়ন লোকের খাদ্য চাহিদা পূরণে চালের প্রয়োজন হবে যথাক্রমে ৩৮.৫, ৪২.০ এবং ৪৪.৬ মিলিয়ন টন। রাইস ভিশন বাস্তবায়নের পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ব্রি একটি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান তৈরি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৭০ সাল নাগাদ দেশে ধানের উৎপাদনশীলতা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও ঘাতসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন এবং কৃষকের কাছে সেই জাত পৌঁছানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এসব বিষয় মাথায় রেখে ব্রি’র চলমান রয়েছে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম। তবে এই কার্যক্রম আরও বেগবান করতে বিজ্ঞানীসহ জনবল কাঠামো বৃদ্ধির কথাও বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা টেকসই করা ও ভবিষ্যত খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্রি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত জরুরী। এ যাবত এই গুরুত্ব¡পূর্ণ কার্যক্রম সীমিত জনবল দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। কিন্তু গবেষণার ব্যাপকতা বৃদ্ধি, ক্ষেত্র ও ধরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের ফলে বিদ্যমান জনবলের মাধ্যমে নানাবিদ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায়, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ধান উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি ও কলাকৌশল উদ্ভাবনে ব্রির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিদ্যমান গবেষণা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরী।

করোনা মহামারীর কারণে সারাবিশ^ যেখানে নিশ্চিত খাদ্য সঙ্কটের পথে ঠিক তখন বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য দিচ্ছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) দেশে আউশ, আমন ও বোরো মওসুমে চালের মোট উৎপাদন তিন কোটি ৮৭ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে চাল উৎপাদনের তিন নম্বর স্থানটি দখলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

কৃষি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দেশের কৃষি ও খাদ্য শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে তার পেছনে ছিল সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি সহায়তা ও সময় উপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ। সার এবং তেলের দাম কমানো, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি, কৃষিতে প্রণোদনা, উন্নতমানের ধানের বীজ সরবরাহ, বিভিন্ন ঘাত সহিঞ্চু জাত (বন্যা, খরা, লবণাক্ততা সহনশীল জাত) উদ্ভাবন ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চালের উৎপাদন প্রতিবছর গড়ে ৪.৮৮ লক্ষ টন হারে বেড়েছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত আছে। জানা গেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে তখন ব্রির উদ্ভাবিত জাতের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০টি। বর্তমান সরকারের গত দুই মেয়াদে দশবছরে ব্রি চারটি হাইব্রিডসহ আরও ৫৫টি জাত উদ্ভাবন করে যা ব্রির ইতিহাসে মাইলফলক। এদিকে ব্রি বিজ্ঞানী কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের একাধিক কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সুবর্ণ জয়ন্তীর আগে ব্রি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ব্রি একাধিক সূত্র জানায় খাদ্য নিরাপত্তায় সাফল্য হিসেবে অনেকেই এটি মেনে নিতে পারছেন না। খাদ্য সরবরাহে ভঙ্গুর ধরাতে ব্রি নিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যাচারও করা হচ্ছে। বিদেশী সংস্থার পাশাপাশি দেশীয় এক শ্রেণীর মানুষ ব্রি বিভিন্ন কার্যক্রম সন্তুষ্ট হতে না পেরে সাফল্যে ঈর্ষান্বিত বলেও মত কর্মকর্তা কর্মচারীদের।

এদিকে জানা গেছে, ব্রি উদ্ভাবিত খরাসহিষ্ণু জাতগুলো খরাপ্রবণ এলাকায় সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১২% আবাদ এলাকা বৃদ্ধি পেয়েছে যেখান থেকে উৎপাদন বেড়েছে ৮%। ব্রি উদ্ভাবিত লবণাক্ত সহনশীল জাতগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে লবণাক্ত এলাকার ৩৫ ভাগ এরিয়া চাষের আওতায় এসেছে, উৎপাদন বেড়েছে ১০%। জলমগ্নতা সহনশীল জাতগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে ২৬% এলাকা চাষের আওতায় এসেছে যেখানে উৎপাদন বেড়েছে ৯%। উপকূলীয় এলাকায় ধানের আবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জোয়ার-ভাটা সহনশীল ব্রি ধান ৭৬ ও ৭৭ এবং জলমগ্নতা ও মাঝারি উঁচু জমিতে জোয়ার-ভাটা সহনশীল ব্রি ধান ৫২ অবমুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমি ধান চাষের আওতায় এসেছে। সর্বোপরি ঘাত সহনশীল ও অনুকূল পরিবেশ উপযোগী জাতগুলোর আবাদ সম্প্রসারণের ফলে ৪.৮৮ লক্ষ টন হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মরত বিজ্ঞানীরা ও কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা করেছেন ব্রি সাফল্য অব্যাহত রাখতে জনবল কাঠামোতে জোর দেয়ার কথা বলেছেন।

আলোকিত রাঙামাটি