রাঙামাটি । বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ , ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আলোকিত রাঙ্গামাটিঃ-

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সম্পৃক্তা জরুরি:বীর বাহাদুর

পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সম্পৃক্তা জরুরি:বীর বাহাদুর

তরুণরা সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার আগামী বিশ্বকে তারাই নেতৃত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতি বৃষ্টিপাত, খরা ও ঝড় হচ্ছে অন্যদিকে বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে বন উজার এই দুয়ের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী তরুণ সমাজকে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পরিবেশ রক্ষায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া একান্ত জরুরি।

বুধবার সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস- ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎকে সামনে রেখে ২০০৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস নির্ধারণ করেন। এরপর প্রতিবছর দিনটি পার্বত্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “মাউন্টেস মেটার ফর ইয়ুথ”।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ুর নেতৃত্ব তথা মানুষের অপরিকল্পিত জীবনধারণের কারণে বিশ্বব্যাপী পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতি বৃষ্টিপাত, খরা ও ঝড় হচ্ছে অন্যদিকে বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে বন উজার এই দুয়ের প্রভাবে পার্বত্য এলাকায় প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থতি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী তরুণ সমাজকে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর পরিবেশ রক্ষায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া একান্ত জরুরি। তরুণরা সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার কারণ আগামী বিশ্বকে তারা নেতৃত্ব দেবে।

তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য , বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা পার্বত্যবাসীর দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পাহাড়ের সঠিক ব্যবহার এবং এখানে বসবাসরত মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসকে সামনে রেখে পার্বত্যবাসী তাদের জীবনযাত্রার কল্যাণমুখী পরিবর্তনে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে, টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সচেষ্ট হবেন বলে আমার বিশ্বাস ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পৃথিবীর প্রায় ২২ শতাংশ পার্বত্য অঞ্চল। এ অঞ্চলে পৃথিবীর প্রায় এক-দশমাংশ মানুষের বাস এবং ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মিঠা পানির উৎস। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন অত্যন্ত বৈচিত্রময়। পর্বতমালা, নদ-নদী, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী এ অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্রপূর্ণ। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অপরিহার্য।

আলোকিত রাঙামাটি