পার্বত্যাঞ্চলের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু দিয়ে সাজেকে যাতায়াত সহজ হবে
চেঙ্গি সেতু’র কাজ প্রায়ই শেষ। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- পার্বত্যাঞ্চলের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। চেঙ্গি নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছে তিন উপজেলার দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। ‘চেঙ্গি সেতু’ দিয়ে শুধু নানিয়ারচর সদর নয়, সহজেই যাতায়াত করা যাবে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলায়ও। পাশাপাশি রাঙামাটি হয়ে সাজেক যাওয়া যাবে খুব সহজেই।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন জানান, সড়কটি নির্মাণে সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) থেকে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিগগিরই সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।
সেতুর প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মো. মিজানুর রহমান ফকির বলেন, নানিয়ারচর সেতুটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু। এ সেতুর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাঙামাটি-নানিয়ারচর-লংগদু, খাগড়াছড়ি-সাজেক-বাঘাইছড়ি উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। আগামী ডিসেম্বরে সেতু উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার পাল জানান, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। খুব ভালোভাবেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যান চলাচলের জন্য অচিরেই সেতুটি খুলে দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চেঙ্গি সেতুর দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটার এবং প্রস্থ ১০.২ মিটার। সেতুটির সঙ্গে সংযোগ সড়ক রয়েছে ২.২ কিলোমিটার। এই সড়কের প্রস্থ ৭.৯ মিটার। এতে মোট বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সেতু নির্মাণে প্রায় ১২০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। আর দুই কিলোমিটার সড়ক সংযোগের জন্য ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ জানান, বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হয়। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এরপর ব্রিজের কাজ দ্রুতই সম্পন্ন হয়েছে।
নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, এই সেতুর মাধ্যমে এখন খুব সহজেই জেলা সদরে যাতায়াত করা সম্ভব হবে। তাছাড়া এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্যের পরিবহন ও বাজারজাত সহজ হবে। একই সঙ্গে বাকি দুই উপজেলা লংগদু, বাঘাইছড়ি হয়ে আমরা সাজেকেও চলে যেতে পারবো।
চলতি বছরেই খুলে দেয়া হতে পারে চেঙ্গি সেতু। এতে রাঙামাটি-নানিয়ারচর-লংগদু-বাঘাইছড়ির সঙ্গে সড়কপথে পুরো দেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। আর তাতে পাহাড়ের অনগ্রসর একটি অংশে এই সেতু খুলে দেবে সম্ভাবনার দুয়ার।
আলোকিত রাঙামাটি