রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:০২, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

পাহাড়ে বাড়ছে সরিষার আবাদ, লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক

পাহাড়ে বাড়ছে সরিষার আবাদ, লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক
খাগড়াছড়িতে বেড়েছে সরিষার আবাদ, আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন পাহাড়ের কৃষক।

খাগড়াছড়িতে আগের তুলনায় বেড়েছে সরিষার আবাদ। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন পাহাড়ের কৃষক। সরকারিভাবে বিশেষ প্রদর্শনী প্লট ছাড়াও কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেক বেশি।

পাহাড়ে বেশিরভাগ জমিতেই বিনা ৯, বারি ১৪, ১৭ এবং মাঘী জাতের সরিষার আবাদ করছেন কৃষকরা। সরিষার আবাদ জেলার দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি ও মাটিরাঙা উপজেলায় বেড়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে, গত মৌসুমের তুলনায় এবার সরিষা আবাদ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় বেশি।

খাগড়াছড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে জেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নে নিজ ব্যয়ে সরিষার আবাদ করেছেন কৃষক রুপায়ন চাকমা। তিনি জানান, মৌসুমে এই জমিতে রবিশস্য চাষ করেছি। ৪০ শতক জমিতে বারি ১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। পুরো জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। আশপাশের অনেক কৃষক সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

একই ইউনিয়নের কৃষক শুভল চাকমা প্রায় ২ কানি (৮০ শতক) জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। তিনি জানান, বিলুপ্ত জাতের দেশি ‘মাঘী’ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। অনেক খুঁজে এসব সরিষার বীজ সংগ্রহ করেছি। এতে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশীয় জাতের বীজ সংরক্ষণ করা যাবে। দুই কানি জমিতে আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। সরিষা চাষে প্রায় তিনগুণ আয় আশা করছি।

খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি অফিসের উপপরিচালক মর্ত্তুজ আলী জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। বিনা ও বারি জাতের সরিষার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৯০টি প্রদর্শনী প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। জেলার ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বিলুপ্ত জাতের সরিষাও রয়েছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ বাড়ায় ও কৃষক পর্যায়ে আগ্রহ থাকায় পুরো খাগড়াছড়িতে সরিষার আবাদ হয়েছে।

আলোকিত রাঙামাটি