রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

পুঁজিবাজারে এক সপ্তাহে মূলধন ফিরেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা

পুঁজিবাজারে এক সপ্তাহে মূলধন ফিরেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা

আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহেও উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সূচক বাড়লেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। চলতি সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজার মিলে বিনিয়োগকারীরা ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি ৮৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা মূলধন ফিরেছে। এর মধ্যে ডিএসইতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় চার লাখ ১৬ হাজার ৯৪৭ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল চার লাখ ১০ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি ৮৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

সিএসইতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় তিন লাখ ৪৬ হাজার ২৬৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৩৮ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর বিনিয়োগকারীরা সাত হাজার ৫৫১ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন হাজার ৬৫৯ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার ৪১৪ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহ থেকে ৫১৩ কোটি ৫৮ লাখ ৩১ হাজার ৪১৯ টাকা বা ১২.৩১ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল চার হাজার ১৭৩ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৩ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৯১৪ কোটি ৯৫ লাখ ৭৩ হাজার ১০৩ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৮০ কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩৮ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩.৩৭ পয়েন্ট বা ০.২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১০৮.০৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১০.৫৭ পয়েন্ট বা ০.৯২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৪৬ পয়েন্ট বা ১.৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৮০.০৯ পয়েন্টে এবং ১৭৯৮.৬১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির বা ৩১.৭৬ শতাংশের, কমেছে ১৮২টির বা ৫০.২৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৫টির বা ১৭.৯৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২১৩ কোটি ৫২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৪০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৭ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৭০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৭০ টাকা বা ২৭.৭১ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৭.২৬ পয়েন্ট বা ০.৪৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৭০.০৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৪৭.৭৩ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১০৫.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১১.৪০ পয়েন্ট বা ১.০৮ শতাংশ এবং সিএসআই ৯.১৪ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে আট হাজার ৮৩৭.৫৬ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৮৫০.৪৯ পয়েন্টে, এক হাজার ৭০.১৬ পয়েন্টে এবং ৯৭১.১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির বা ২৮.৭৫ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৬১টির বা ৫১.৪৪ শতাংশের কমেছে এবং ৬২টির বা ১৯.৮৮১ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়