রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ , ৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:২৫, ১৮ জুন ২০২১

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে চট্টগ্রামের আরো ৬৪৯ পরিবার

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে চট্টগ্রামের আরো ৬৪৯ পরিবার

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন আরো ৬৪৯টি পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রামের ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম পর্যায়ে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম জেলায়ও প্রথম পর্যায়ে এক হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ২০ জুন চট্টগ্রাম জেলার ১৩টি উপজেলার ৬৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে। ওইদিন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দুই নম্বর বেতাগী ইউনিয়নের বহলপুর গ্রামে ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই গ্রামে একসঙ্গে  ৩০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। সে সময় উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

ডিসি বলেন, আমরা দুই ক্যাটাগরিতে ঘর দিচ্ছি। যাদের ভূমি ও ঘর দুটিই নেই। আর যাদের জমি আছে কিন্তু থাকার ঘর নেই। যাদের ভূমি ও ঘর দুটিই নেই এমন নয় হাজার ১২৪ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে দুই হাজার ৯৯ জন ও বেসরকারিভাবে ১২৩ জনকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা সবাইকে ঘর করে দেবো। জমি আছে ঘর নেই এমন সাত হাজার ৪৭৮ জনের তালিকা তৈরি করেছি। কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। 

অতিরিক্ত ডিসি (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান জানান, যে ঘরগুলো দেয়া হচ্ছে সেগুলোতে দুটি শয়নকক্ষ, একটি রান্না ঘর, বারান্দা ও গোসলখানা থাকছে। এছাড়াও ১০টি ঘরের জন্য থাকছে একটি করে ডিপ টিউবওয়েল। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের নির্মাণ কাজে খরচ হয় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে হয় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা।

জেলা প্রসাসন সূত্র জানায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর পাচ্ছে রাউজান উপজেলার ২৪৮টি, লোহাগাড়ার ১৫০টি, রাঙ্গুনিয়ার ৫০টি, আনোয়ারার ৫০টি, পটিয়ার ৩০টি, চন্দনাইশের ২৭টি, মিরসরাইয়ের ২৫টি, বোয়ালখালীর ২০টি, বাঁশখালীর ১৪টি, সাতকানিয়ার ১০টি, হাটহাজারীর ১০টি, সীতাকুণ্ডের ১০টি ও কর্ণফুলীর পাঁচটি পরিবার।


 

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ

জনপ্রিয়