রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ৪ জুন ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ নির্দেশনা জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের

প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ নির্দেশনা জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টানা ৬৬ দিন পর মানুষের জীবন-জীবিকা সচল রাখতে তুলে নেওয়া হয়েছে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে সব ধরনের কার্যক্রম। এবার আরও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে জনগণ, দলীয় নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের পাঁচটি নির্দেশনা প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নির্দেশনার অন্যতম আপৎকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় সেবা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনপ্রতিনিধিরা অসহায়-দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এই নির্দেশনার কথা জানান তিনি। পরে নির্দেশনাগুলো দলীয় প্যাডে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হিসেবে গণমাধ্যমে পাঠান দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার দেশের জনস্বাস্থ্য ও নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর জনগণের জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি জীবিকার প্রশ্নটিও জোরালোভাবে সামনে উঠে আসে। জীবনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবিকা সুরক্ষার স্বার্থে সরকার সাধারণ ছুটি শিথিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যার ফলশ্রুতিতে সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হচ্ছে অফিস-আদালতসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং চালু করা হয়েছে গণপরিবহন ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় করোনা প্রতিরোধে আরও অধিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের কতিপয় নির্দেশনা প্রদানসহ দেশবাসীর প্রতি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন। নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপ : প্রথম : সাধারণ ছুটি শেষে সবাই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। অফিস-আদালত, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি (যথা : নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব) মেনে চলা এবং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করা। দ্বিতীয় : গণপরিবহনে চলাচলের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। তৃতীয় : জনসম্মুখে সব সময় মাস্ক পরিধান করা এবং সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা মেনে চলা। চতুর্থ : দলীয় নেতা-কর্মীরা ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এবং তা প্রতিপালনের জন্য জনগণকে সচেতন করে তুলবেন। সব ক্ষেত্রে এটা যাতে বাস্তবায়িত হয় তার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন।  পঞ্চম : স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা অঞ্চলভিত্তিক তদারকির মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণেও ভূমিকা রাখবেন। আপৎকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় সেবা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনপ্রতিনিধিরা অসহায়-দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ