রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ১০ আগস্ট ২০২০

প্রবাসীদের জন্য সঞ্চয়ী হিসাব খোলার সুযোগ

প্রবাসীদের জন্য সঞ্চয়ী হিসাব খোলার সুযোগ

প্রতীকি ছবি


স্থানীয়দের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও ব্যাংকগুলোতে মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিভিত্তিক সঞ্চয় স্কিম চালুর অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৈধ চ্যানেলে পাঠানো অর্থের বিপরীতে এ ধরনের হিসাব খোলা যাবে। সঞ্চয় স্কিমের স্থিতি জামানত রেখে ঋণও দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। বিশেষ প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে জমানো টাকা বিদেশেও নেওয়া যাবে।

বর্তমানে বিভিন্ন প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও কোনো সঞ্চয়ী স্কিম নেই। রোববার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. হুয়ায়ুন কবির বলেন, ডিপিএসের আদলে প্রবাসীদের জন্য সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে ব্যাংকগুলোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন প্রডাক্ট প্রস্তাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাবে। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে নিম্ন আয়ের প্রবাসীরা সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশে যারা বেশি আয় করেন তাদের জন্য বিভিন্ন বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে যাদের আয় কম তাদের জন্য সে ধরনের কোনো স্কিম না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে-পরে বা বিলাসিতায় উপার্জনের অর্থ শেষ হয়ে যায়। মাসিক বা ত্রৈমাসিক সঞ্চয় স্কিম চালুর অনুমতির ফলে প্রবাসীদের এক ধরনের আর্থিক সুরক্ষা তৈরি হবে। দেশে আসার পর তাদের আর্থিক সংকটে পড়তে হবে না।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের জন্য এক বছর বা তার বেশি মেয়াদে সঞ্চয় স্কিম খুলতে পারবে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলো। বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে সরাসরি পাঠানো অর্থ, এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে পাঠানো রেমিট্যান্স নগদায়ন বা দেশে বেড়াতে আসার সময় আনা বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রবাসীরা ওই হিসাব খুলতে পারবেন। কোন প্রবাসীর নামে পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি নগদায়নের মাধ্যমেও সঞ্চয় স্কিমে অর্থ জমা করা যাবে। বিদেশে যাওয়ার আগেও কোনো ধরনের জমা ছাড়াই এ হিসাব খোলা যাবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সঞ্চয়ী হিসাবের প্রোডাক্ট প্রস্তাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের পর তা গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এ ধরনের সঞ্চয় স্কিমের ওপর প্রতিযোগিতামূলক হারে সুদ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়নের মাধ্যমে পরিচালিত হিসাব বিবেচনায় বিশেষ সুদ হার দিতে বলা হয়েছে। আর সঞ্চয় স্কিমের স্থিতি জামানত রেখে ঋণও দেওয়া যাবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদপূর্তিতে অনিবাসি হিসাবধারীর মনোনিত ব্যক্তিকে সুদসহ অর্থ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। আবার বিকল্প ব্যবস্থায় ওই স্থিতি দিয়ে নতুন করে স্থায়ী আমানত হিসাব খোলা যাবে। প্রাবাসীরা স্থায়ীভাবে দেশে আসার পর ওই হিসাবের স্থিতি এককালীন কিংবা পেনশন পদ্ধতিতে মাসিক বা ত্রৈমাসিকভিত্তিতে তুলতে পারবেন। সঞ্চয় স্কিম চলা অবস্থায় হিসাবধারী দেশে ফিরলে স্থানীয় উৎসের আয় দিয়ে নিবাসী হিসাবের মতোই তার সঞ্চয় স্কিম পরিচালনা করতে পারবেন। বিদেশে থাকা অবস্থায় হিসাবধারীর অর্থের প্রয়োজন হলে আবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় অর্থ বিদেশে পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়