রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:১৫, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

প্রলয়ংকরী সুনামিতেও অক্ষত ছিল রহমতউল্লাহ মসজিদ

প্রলয়ংকরী সুনামিতেও অক্ষত ছিল রহমতউল্লাহ মসজিদ

ছবি: সংগৃহীত


২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ায় হয়েছিল প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সুনামি। দেশটির আচেহ প্রদেশকে একেবারে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল। তবে ভয়ংকর ওই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সেখানকার সমুদ্র তীরবর্তী রহমতউল্লাহ মসজিদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

বর্তমানে মসজিদটি একই স্থানে অবিকল অক্ষত অবস্থায় বিদ্যমান। প্রতিদিনেই ধ্বনিত হয় আজানের ধ্বনি। স্থানীয় ও দর্শনার্থী মুসল্লিরা রহমতউল্লাহ মসজিদে এখনো আগের মতোই নামাজ আদায় করেন।

রহমতউল্লাহ মসজিদের ইমাম সুলাইমান মুহাম্মাদ আমিন (৬৮) সে দিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ভয়াবহ সুনামিতে ৯.৩ মাত্রার মারাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন মসজিদের পাশে একটি অনুষ্ঠান চলছি। বহু মানুষ সে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। বোমা বিস্ফোরণের মতো বিকট আওয়াজে সুনামিযজ্ঞ ঘটে। সে সময় মনে হয়েছিল কেউ অনেক বড় কোনো বোমা হামলা চালাচ্ছে।

 

 

ইমাম মুহাম্মাদ আমিন বলেন, বিকট আওয়াজ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আঘাতহানে সুনামি। ৩০ মিটার উচ্চতার সুনামির আঘাতে আচেহ প্রদেশের এ মসজিদ এলাকার আশেপাশে সব ঘর, বসতবাড়ি, ভবন ও বনাঞ্চল একেবারে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়।

তিনি আরো বলেন, আচেহ প্রদেশের সমুদ্র তীরবর্তী স্থানে রহমতউল্লাহ মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের সুউচ্চ মিনার ও গম্বুজের চেয়েও উচু ছিল সুনামির ঢেউ। 

মুহাম্মাদ আমিন বলেন, সমুদ্র তীরবর্তী কোনো স্থাপনাই  সুনামির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি। কিন্তু মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখি শুধু মসজিদটিই অক্ষত ও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আগের মতোই টিকে আছে। সুনামিতে রহমতউল্লাহ মসজিদের কোনো ক্ষতিই হয়নি।

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ