রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১৩:১১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রাণ ফিরেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাঙামাটি সরকারি কলেজে

প্রাণ ফিরেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাঙামাটি সরকারি কলেজে

রাঙামাটি সরকারি কলেজ : ছবি সংগৃহীত


শত প্রতিকূলতা কাটিয়ে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাঙামাটি সরকারি কলেজে।

টানা কয়েক বছর কলেজটিতে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন না হওয়া এবং ধারাবাহিকভাবে ফলাফলে পিছিয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে দেখা দিয়েছিল হতাশা।

প্রশাসনের উদ্যোগে কলেজটিতে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বেড়েছে লেখাপড়ার মান এবং পরিবেশও। এ ধারা অব্যাহত থাকলে কলেজটি পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে আশা শিক্ষার্থীদের।

তবে রাঙামাটি সরকারি কলেজে এখনো নিয়মিত পড়াশোনা না হওয়ার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে অনার্স কোর্সের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় এখনো পিছিয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে প্রাইভেট, কোচিং এবং নিজেদের জ্ঞানের উপর।

কলেজটিতে বর্তমানে অত্যাধুনিক ল্যাবের জন্য দুই কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বর্তমান প্রশাসনিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ চলছে। 

রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মঈন উদ্দিন জানান, প্রশাসনিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্পন্ন হলে বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব সংকট লাঘব হবে। এতে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত সুবিধা পাবে।

পার্বত্য অঞ্চলের ১৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে রাঙামাটি সরকারি কলেজে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাঙামাটিসহ আশেপাশের জেলার শিক্ষাথীদের মাঝে উচ্চশিক্ষার বীজ বপন করে চলেছে। এ প্রতিষ্ঠানের অগণিত শিক্ষার্থী দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে কর্মরত রয়েছেন।

প্রফেসর মঈন উদ্দীন বলেন, আমাদের কলেজ তিন পার্বত্য জেলার সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য এ কলেজে ভর্তি হয়। তাই তাদের আবাসনের জন্য ১৩২ শয্যার ছাত্রীনিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, রাঙামাটি সরকারি কলেজে ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া শিক্ষার মান, শিক্ষা কার্যক্রম, লাইব্রেরিসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

আলোকিত রাঙামাটি