রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ১৪ জুলাই ২০২০

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

সূত্রঃ আলোকিত রাঙ্গামাটি সহ স্থানীয় বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ‘বাঘাইছড়িতে সরকারী খাস জমি দখলের অপচেষ্টা, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ’ প্রকাশিত সংবাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রেজাউল করিমের শশুর ও ইউপি চেয়ারম্যান রাশেল চৌধুরীর বাবা, আমতলী সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সুলতান আহম্মেদ।

সোমবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১ ঘটিকায় বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবে রেজাউল করিম সহ সুলতান মাষ্টার উপস্থিত হয়ে একটি লিখত বক্তব্য পেশ করেন। এ সময় তিনি দাবী করেন, রাশেল চেয়ারম্যানের ছোট বোনের জামাই সার্জেন্ট রেজাউল করিম আমতলী শহীদ মিনারের পূর্বাংশে খালি জায়গায় রাতের আধারে বাঁশ খুটি নিয়ে দখল করতে গিয়েছে কথাটি সত্য নয়। সার্জেন্ট রেজাউল করিম ৩৮৫ নং আমতলী মৌজার হ্যাডম্যান সুভাষ চন্দ্র চাকমার নিকট থেকে তার পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে প্রাপ্ত ০.১০ একর জমি নগদ ১,৭০,০০০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমিতে ২৭-৬-২০২০ তারিখ সকাল ১১ ঘটিকায় সংস্কার ও মাটি ভরাটের জন্য কাঠ, বাঁশ নিয়ে যান, রাতের আধারে দখল করতে গিয়েছেন কথাটি সত্য নয়। উল্লেখিত জমিটি আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেল চৌধুরী ক্রয় করতে চেয়েছেন কিন্তু হেডম্যান তার নিকট জায়গা বিক্রি না করে সার্জেন্ট রেজাউলের নিকট বিক্রি করেন। এতে রাশেল চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে সার্জেন্ট রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন এবং সার্জেন্ট রেজাউল করিমকে নানা হুমকি দিতে থাকেন এবং মিথ্যা প্রভাকান্ড শুরু করেন।

রাশেল চৌধুরী স্থানীয় মেম্বার শমসের আলীর মাধ্যমে যে সকল কাগজ পত্র দিয়ে সার্জেন্ট রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার সব কাগজে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে, যাহা ইতো পূর্বে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন হেডম্যান সুভাষ চাকমা। এছাড়া সার্জেন্ট রেজাউল বনবিভাগের জায়গা দখল করেছেন কথাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। উক্ত জায়গাটি তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের নামে সরকারী রেকর্ড ভুক্ত বলেও দাবী করেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান রাশেল চৌধুরী সার্জেন্ট রেজাউল করিম কে মারধর করতে গিয়েছে বিষয়টি ও সঠিক নয় বলেন এবং রাশেল তার ফেইসবুকে  শিকার করেছেন বলে দাবী করেন। 

প্রতিবেদকের ব্যাখ্যা: ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের আলোকে উক্ত জায়গায় উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সংবাদের সত্যতার ভিত্তিতে উক্ত সংবাদটি প্রকাশ করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য জায়গাটি টাকা দিয়ে ক্রয় করলেও সীমানা নির্ধারণ করে দখল বুজে নেয়নি। জায়গাটি সরকারী খাস বিদায় হেডম্যান টাকার বিনিময়ে কারো কাছে জমি হস্তান্তর করতে পারেন না, তাই রেজাউল করিম জায়গায় দখল নিতে গেলে স্থানীয় আনসার ভিডিপি সদস্যগণ বাধা প্রধান করেন কারণ উক্ত যায়গাটিতে তাদের কার্যালয়ের জমি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও ওসি বাঘাইছড়ির মধ্যস্থতায় আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের জমি বুজিয়ে দিলেও রেজাউল করিম কে জমি বুজিয়ে দিতে পারেনি হেডম্যান।’

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ