রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষিত হচ্ছে হালদা

‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষিত হচ্ছে হালদা

মুজিববর্ষে হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ। 

সভায় চট্টগ্রামের ডিসি মো. ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. খলিলুর রহমান, হাটহাজারীর ইউএনও মো. রুহুল আমিন, ফটিকছড়ির ইউএনও মো. সায়েদুল আরেফিন, বোয়ালখালীর ইউএনও আছিয়া খাতুন, রাউজানের ইউএনও জোনায়েদ কবীর সোহাগ, মানিকছড়ির ইউএনও তামান্না মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরিয়া, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. মোয়াজ্জম হোসাইন, মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী, সেভ দি হালদা রিভার এর সভাপতি লায়ন যাদব চন্দ্র শীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

 

এশিয়া মহাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে মাছের অভয়াশ্রম


এশিয়া মহাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে মাছের অভয়াশ্রম ও জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণা করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল মৎস্য ও হালদা নদী প্রেমিরা। এরইপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এ নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণার উদ্যোগ নেয় সরকার। 

এর ফলে হালদা যেমন জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্যগত স্থান হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হবে, তেমনি মাছের অভয়াশ্রমের পাশাপাশি প্রকৃতিতে নতুন প্রাণ আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

হালদা নদী পার্বত্য চট্টগ্রামের বাটনাতলী পাহাড় হতে উৎপন্ন হয়ে ফটিকছড়ির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় প্রবেশ করেছে। প্রবেশের পর জেলার ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান ও শহরের চান্দগাঁও-বাকলিয়ার মধ্য দিয়ে এটি প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীটির দৈর্ঘ্য ১০৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৩৪ মিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। 

হালদা পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী যেখানে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে এবং নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া হালদার সঙ্গে দেশের অন্যান্য নদী যেমন- পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার সংযোগ না থাকায় রুই জাতীয় মাছের ‘জীনগত মজুদ’ সম্পূর্ণ অবিকৃত রয়েছে। 

সবকিছু বিবেচনায় রেখে হালদা কেবল প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ঐতিহ্যই নয়, বিশ্ব প্রাকৃতিক ঐতিহ্যেরও যোগ্যতা রাখে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়