রাঙামাটি । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৩:০০, ২৯ নভেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফাইল ছবি


রাজধানী ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে যমুনা নদীর ওপর ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু থেকে ৩০০ মিটার উত্তরে রেল সেতুটি নির্মাণ করা হবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হলেও সংশোধিত প্রকল্পে সময়সীমা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। যদিও ডাবল লাইন হওয়ায় সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৬০ কিলোমিটার বিবেচনা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

আর প্রকল্প ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা থাকলেও তা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা জাপানের সহযোগিতা সংস্থা জাইকা দিচ্ছে। বাকিটা অর্থায়ন করছে সরকার। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৪৩১ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

সেতুটি নির্মিত হলে এটি হবে দেশের বৃহত্তম রেল সেতু। রাজধানী ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই রেলসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে ৪৪টি ট্রেন চলাচল করে। সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় সেতু পার হতে ট্রাফিক সিগন্যালে বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হয়। ওজন সীমাবদ্ধতার কারণে ভারী পণ্যবাহী ট্রেন চলতে পারে না। এ সেতুতে ট্রেনও পূর্ণ গতিতে চলতে পারে না। ঈদের সময় সূচির বিপর্যয়ে পড়ে ট্রেন।

নতুন ডাবল লাইন সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। রাজধানীর সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থারও অনেক উন্নয়ন হবে।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী কামরুল আহসান বলেন, এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাইট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা আসতেও শুরু করেছেন। মূল সেতুটি দুটি প্যাকেজের আওতায় বানানো হবে।

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এই সেতু চালু হলে দ্রুত গতিতে দুটি ট্রেন পাশাপাশি চলাচল করতে পারবে। দ্রুতগতিতে রেল যোগাযোগ বাস্তবায়িত হলে দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ আরো সহজ হবে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরো উন্নয়ন ঘটবে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়