রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:১২, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

৬৫% কাজ সম্পন্ন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নেটওয়ার্কে আসছে সাগরে মাছ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নেটওয়ার্কে আসছে সাগরে মাছ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নৌযানগুলোকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার কাজ এরই মধ্যে ৬৫ শতাংশ শেষ করা হয়েছে। এ কাজ শেষ হলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নৌযানগুলোর ওপর নজরদারির পাশাপাশি সেগুলোর নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে এবং এতে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক বখতিয়ার উদ্দিন জানান, বর্তমানে জাপানি এক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের নৌযানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ছয় ঘণ্টা অন্তর শুধু নৌযানের অবস্থানের তথ্য পাওয়া যায় এবং এর জন্য একটি নৌযান বাবদ প্রতিদিনের ব্যয় প্রায় ১৬০ ডলার। এবার পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এতে অল্প খরচে সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী জাহাজ মালিকরা সার্বক্ষণিকভাবে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছর জানুয়ারি থেকে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৮৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে একটি স্থল স্যাটেলাইট ব্যবস্থার নিজস্ব বেসস্টেশন তথা জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (জেসিসি) স্থাপন করা হবে মৎস্য বিভাগের জন্য। এই স্টেশন থেকেই নৌযানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। সমুদ্র সম্পর্কিত অন্যান্য বিভাগ ও দপ্তরও জেসিসিতে সম্পৃক্ত থাকবে।

প্রকল্পের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক অধীর চন্দ্র দাশ জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলে সাতটিসহ সারা দেশে ১৬টি নিজস্ব বেসস্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নৌযানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। সমুদ্রে নৌযানগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা এবং দুর্ঘটনার শিকার হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ সহজ হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ করে চলতি বছরই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর আশা করছেন প্রকল্পের আরেক উপপরিচালক মনিষ কুমার মণ্ডল।

২০১৮ সালের ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। এই স্যাটেলাইট ব্যবহারের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণকারী নৌযানগুলোকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়