রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাবেদ মোহাম্মদ নূর

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

আপডেট: ০০:০০, ৩০ নভেম্বর ১৯৯৯

“বন্দী ঘর”

“বন্দী ঘর”

এ লেকের পাশ ঘেঁষে
দু’একটা ডাহুক আসে রোজ
তাকাবোনা তাকাবোনা করে তাকাই
পানকৌড়ির ভয়ে রাজহাঁসটি পালিয়ে যায়।

তারপাশে আমি গিটারে সুর তুলি
উড়ো উড়ো প্রেমের সম্ভাবতা স্থগিত করে দিই
নির্বাসিত ব্যাক্তি আঁধারে নিশ্চুপ আলোতে অস্থির
এ টুকুই শুধু সময়ের সাথে আমার ব্যবধান
অথছ আমি গুনগুন করি তার চোখ স্থির, তার চোখ শশ্মান।

ভেবোনা তখন আমি লেকের জলে দুঃখ ভুলি
আমি শুধু পান্ডুলীপিতেই লিখি পরবর্তী প্রেমের নাম
রোজ প্রেম করি তবু ফাঁসির কাষ্টে ঝুলতে ঝুলতে হয়রান
আমার চোখ তো গোপন ক্যামরা নয়
তাকাবো শুধু স্তন আর নাভিমুলে
সত্য হলো এই, ক্ষণেক্ষণে আকাশের প্রেমে পড়ে
মেঘে ভেসে ভেসে পরদেশী হয়ে সব যায় ভুলে।

কেই জন্মায় না, কেউ শক্ত করে বাঁধেনি আমায় হাতপায়ে বেড়ি
কতোকাল ঘুমায় না ষ্টেশনে পৌঁছাতে রোজ হয় দেরি
ও বুলবুলি! কবে আমি মোহনায় পৌঁছাবো বল
কবে আমি হবো তার চোখের নোনা জল!
আমি যদি তুমি হতাম বুকেই বানাতাম সমাধিস্থল
চিরসবুজ উত্তারাধিকারীর নাম ধরে ধরে।

এরপর সবার চোখের প্রহসন ফেলে আমি ছায়া হই
অতি দ্রুত সাজাই মনের ভিতর রুপকথার গল্প
সাবমেরিনের মতো ডুবে ডুবে
জোনাকির মতো একদিন আমার বুকেও ঘাস হবে
লতা হবে… পাতা হবে… ফুল হবে…।

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ