রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৩০ মে ২০২০

বসলো পদ্মাসেতুর ৩০তম স্প্যান, দৃশ্যমান সাড়ে ৪ কিলোমিটার

বসলো পদ্মাসেতুর ৩০তম স্প্যান, দৃশ্যমান সাড়ে ৪ কিলোমিটার

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে শনিবার পদ্মাসেতুর ২৯তম স্প্যান বসেছে। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর বসানো হয়েছে ৩০তম স্প্যান। এ নিয়ে সেতুর ৪ হাজার ৫০০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়েছে। এখন সেতুর আরো ১১টি স্প্যান বসানো বাকি।

পদ্মাসেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এই সেতুর ১০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এরমধ্যে সারাদেশে সাধারণ ছুটির মধ্যেও ২৭ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এই মহামারি না থাকলে মে মাসের মধ্যে ৩৪টি স্প্যান বসানো সম্ভব হতো। তবে করোনা দুর্যোগের মধ্যেও সেতুর ৪২টি পিলারের সব কটিতেই স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

একই সঙ্গে রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ এগিয়ে চলছে। পদ্মাসেতুর মাওয়া প্রান্তে ২০টির মধ্যে ১০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এছাড়া নদীর মাঝখানে একটি স্প্যান এবং জাজিরা প্রান্তে ২০টির মধ্যে ১৯টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়ায় এসেছে ৩৯টি। এরমধ্যে ৩০টি স্থাপন করা হয়েছে। ৯টি স্প্যানে মাওয়ায় কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ওয়েল্ডিং, অ্যাসেম্বলিং ও পেইন্টিংয়ের কাজ চলছে। বাকি দুটি স্প্যানের সব অংশসহ অন্য সব সরঞ্জাম ১৫ জুনের মধ্যে মাওয়া কন্সট্রাকশন সাইটে পৌঁছে যাবে।

এদিকে শরীয়তপুরের জাজিয়ার পদ্মা নদীতে সেতুর কাজ করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। তাদের মতে, বর্ষাকাল এলে এই চ্যালেঞ্জ আরো বেড়ে যায়। বর্ষার প্রভাব এরই মধ্যে পদ্মায় পড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনে নদীর পানির উচ্চতা সাড়ে ছয় ফুট বেড়েছে। তাই ২০ জুনের মধ্যেই সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৫ ও ২৬ নম্বর পিলারের ওপর অবশিষ্ট একটি স্প্যান (৩১তম স্প্যান) বসাতে হবে। এটি করা না গেলে বর্ষাকাল শেষে পদ্মা নদীর ২ কিলোমিটার অংশে ড্রেজিং করতে হবে।

মূল সেতুর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৫৯৪টি ও ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১ হাজার ১০৫টি স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টে ৪৮৪টি সুপার টি-গার্ডারের মধ্যে ১৪৮টি স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মূল সেতুর ৮৭ শতাংশ নদী শাসন কাজের ৭১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়