রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের কুকুর রান্না হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন হোটেলে

বাংলাদেশের কুকুর রান্না হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন হোটেলে

দীঘিনালার বিভিন্ন হাট থেকে কুকুর যাচ্ছে মিজোরামের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। ছবি: সংগৃহীত


কুকুর জবাই, কুকুরের মাংস আমদানি, বিক্রি বা ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে ভারতের রাজ্য মিজোরাম। তারপরও সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে কুকুরের মাংস বিক্রি বন্ধ নেই। কারণ ওই অঞ্চলের প্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম কুকুরের মাংস। আর এসব কুকুর যাচ্ছে খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী উপজেলা দীঘিনালার বিভিন্ন হাট থেকে।

পাহাড়ের বিভিন্ন হাট থেকে প্রতি মাসেই কুকুর ধরে পাচার করছে শিকারিরা। একটি কুকুর মিজোরাম বাজারে পৌঁছে দিলেই মেলে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। খাওয়ার জন্য এ সব কুকুর নিয়ে যাওয়া হয়।

চলতি বছরের শুরুর দিকে মিজোরাম রাজ্য কুকুর খাওয়া নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয়। রাজ্য সরকার আইন সংশোধন করে কুকুরকে খাওয়ার জন্য হত্যাযোগ্য প্রাণির তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এরপর থেকেই কুকুর শিকারে আরো বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে শিকারিরা।

জানা গেছে, দীঘিনালার বোয়ালখালি বাজার, বাবুছড়া, থানা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব কুকুর শিকার করা হয়। কুকুরগুলো রাঙ্গামাটির মাইনী বাজার হয়ে কাপ্তাই হৃদ দিয়ে মিজোরামে নেয়া হয়। এসময় কুকুরগুলোকে সনাতনী ফাঁদে আটকানোর পর সরু তার দিয়ে কুকুরের মুখ বেঁধে দেয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিটি কুকুরের গলায় আটকে দেয়া হয় শুকনো বাঁশ। খাওয়ার জন্য এ সব কুকুর নিয়ে যাওয়া হয়।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ উল্ল্যাহ গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। এরপর কোনো শিকারি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে জানান, এই বিষয়টি আমি প্রথম শুনেছি। কোনো প্রাণীর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা যাবে না। এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।

উল্লেখ্য, ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলেই কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় বিশেষ কিছু সম্প্রদায় এটি উপাদেয় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেন। তাদের সংস্কৃতির অংশ বলেই মনে করেন তারা।

আলোকিত রাঙামাটি