রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ , ৯ বৈশাখ ১৪৩১

ওমর ফারুক সুমনঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

বাঘাইছড়ির রাবার শ্রমিকদের ভাগ্য বদলায়নি ২৬ বছরেও

বাঘাইছড়ির রাবার শ্রমিকদের ভাগ্য বদলায়নি ২৬ বছরেও
ছবি:- আলোকিত রাঙ্গামাটি

ওমর ফারুক সুমন (বাঘাইছড়ি) প্রতিনিধিঃ- রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় রাবার বাগান ও রাবার উৎপাদনে ফ্যাক্টরিতে কাজ করা শতাধিক রাবার শ্রমিকের ভাগ্যের বদল হয়নি দীর্ঘ ২৬ বছরেও। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বছরে ৭০ মেট্রিকটন রাবার উৎপাদনে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম সেই রাবার শ্রমিকদের দিন কাটছে অনাহারে- অর্ধাহারে। ভোর ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাজ করে যে পরিমান পারিশ্রমিক তারা পায় তা দিয়ে সংসারের চাকা তাদের সচল হয় না, তাই কোন রকম খেয়ে না খেয়েই জীবন চালাতে হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রাবার ফ্যাক্টরিতে মাত্র ৪ জন শ্রমিক তরল রাবারকে প্রক্রিজাত করে হাজারো রাবার স্লাইড তৈরি করছে।

কারখানার শ্রমিক নিলাময় চাকমা জানায়, এই কারখানায় তারা মাত্র ৪ জন কাজ করে, মাঝে মাঝে উলুছড়ি কারখানা থেকে আরো ৪ জন শ্রমিক তাদের সাহায্য করতে আসে। এই ৮ জন শ্রমিক দিয়ে কোন ভাবেই কারখানায় সঠিক উৎপাদন সম্ভব নয়, তার পরেও তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন উৎপাদন সচল রাখতে। আর বাগানে রাবার কষ সংগ্রহ করে ৭০ জন শ্রমিক।

কারখানার ড্রাইভার আবু বকর বলেন, আগে তারা নিয়মিত বেতন ভাতা পেতোনা, এখন বেতন ভাতাধি সময় মত পেলেও এই অল্প বেতনে তাদের পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

অন্যদিকে শ্রমিক চিরজোতি চাকমারও একি কথা, তাদের বেতন খুবই কম। ২৬ বছর চাকরি করেও জীবনমান একটুও বদলায়নি, পেটের দায়ে কাজ করতে হয়।



বাঘাইছড়িতে রাবার বাগান প্রকল্পটি দেখভাল করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। এ বিষয়ে কথা বলেতে বাঘাইছড়ি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ে গিয়ে কাওকে পাওয়া যায়নি।

দেখা যায়, কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছে শ্রমিকরা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কোন ছবি নেই, প্রধানমন্ত্রীর ছবিটিও খুবই নাজুক অবস্থা। কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দায়িত্বরত ম্যানেজার মো. নুরুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। শ্রমিকরা জানায়, তিনি খাগড়াছড়ি অবস্থান করছেন।

আলোকিত রাঙামাটি