‘বিএনপির সমাবেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না’
বিএনপির সমাবেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না, বরং সমাবেশে আইন ও আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কেবল আদালতে জামিন বা খালাস পাওয়া ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির অন্য কোনো পথ নেই। তাই আমি বলবো তার মুক্তির জন্য আন্দোলন আইন ও আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের আমলে আদমজী পাটকলসহ দেশের বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে সেখানকার মেশিনপত্র কেজি দরে বিক্রি করেছিল। এ কারণেই তাদের নেতা খসরু আজ নির্বাচনে হেরে ইভিএমগুলো কেজি দরে বিক্রির কথা বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।
উল্টা-পাল্টা কথা না বলার অনুরোধ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখার বিধানের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা অযৌক্তিক। কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে রাখা হতো। যার হিসাব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিবেদনে অপ্রদর্শিত থাকায় তা অর্থনীতিতে যুক্তও হতো না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ মেটানো ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রেখেই উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ সমাগত। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে ঘুমন্ত বাঙালি জাগ্রত হতো না, বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীনই করেননি, দেশের ভেতরে এক কোটি গৃহহারা মানুষকে পুনর্বাসিত করেছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছেন। আর তার মৃত্যুর পর দেশ যে দুর্নীতি-দুঃশাসনে পিছিয়ে পড়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক কণ্ঠশিল্পী মো. রফিকুল আলম প্রমুখ।
আলোকিত রাঙামাটি