রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ৩ জুন ২০২০

বিজিবিতে অস্ত্র সজ্জিত অত্যাধুনিক ইন্টারসেপটোর জলযান

বিজিবিতে অস্ত্র সজ্জিত অত্যাধুনিক ইন্টারসেপটোর জলযান

ছবি: সংগৃহীত


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) সংযোজিত হয়েছে ৪টি অত্যাধুনিক দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারসেপটোর জলযান। বুধবার বিজিবি সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা গেছে।

বিজিবি জানায়, সিলভারক্রাফট ৪০ মডেলের রিইনফোর্সড পলিমারের তৈরি ৪০ ফুট দীর্ঘ ৭৫০ হর্স পাওয়ারের তিন ইঞ্জিনের প্রতিটি জলযান ৩৩ জন সেনা ধারণে সক্ষম। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ নটিকাল মাইল বা ১০১ কিলোমিটার।

 

বিজিবি সংযোজিত হয়েছে এমন ৪টি অত্যাধুনিক দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারসেপটোর জলযান

 

 

এই জলযানগুলো যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম। এতে সংযোজিত আছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সিস্টেম (RADAR), চতুর্থ প্রজন্মের জিপিএস (GPS), আধুনিক সোনার সিস্টেম (SONAR) এবং আরও অনেক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।

এই জলযানগুলো নিজস্ব অবস্থান হতে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রু জলযান এর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এতে দুইজন মুমুর্ষ রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

 

 

বাংলাদেশের ৪ হাজার ১৮৪ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে ১৮০ এবং মায়ানমারের সঙ্গে ৬৩ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত বিজিবি প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং টহল করে। এদিকে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় সীমান্তবর্তী নাফ নদী। আর তাই ২০১৯ সাল হতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থলভাগের সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি নিয়োজিত হয়।

আন্তঃদেশীয় অপরাধীদের নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন, মানব পাচার, চোরাচালান, ইয়াবাসহ মাদক পাচারে চোরাকারবারিদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি এবং চলমান রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অপরদিকে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাতক্ষীরার নীলডুমুরের সুন্দরবন অংশের গহীন অরণ্যের বাংলাদেশ-ভারত জলসীমান্ত এলাকায়ও অনুরূপ চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান।

 

বিজিবি সংযোজিত হয়েছে ৪টি অত্যাধুনিক দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারসেপটোর জলযান

 

 

বাংলাদেশের নৌ সীমান্তে বিশেষ করে মায়ানমার সীমান্তের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, নাফ নদী এবং ভারত সীমান্তের নীলডুমুরে ও সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের জলসীমান্তে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচার রোধ ও চোরাচালান বন্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত, অধিক সৈন্য বহনে সক্ষম দ্রুতগতির এই জলযান বিজিবি'র সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে।

তাই, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে, বাংলাদেশে বিজিবি'র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম আরো জোরদার করার জন্য বিজিবিতে সংযোজিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ জলযানগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়