রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ৪ মে ২০২০

ভারত-চীনের চেয়েও নিরাপদ বাংলাদেশের অর্থনীতি

ভারত-চীনের চেয়েও নিরাপদ বাংলাদেশের অর্থনীতি

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব প্রায় স্তব্ধ। বন্ধ সব কল-কারখানা। আয়-উপার্জন নেই। এমনকি আভাস মিলছে বিশ্ব অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যেতে বসেছে। সেই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক নিরাপদ অবস্থানে আছে, গবেষণায় উলেস্নখ করেছে নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট।

করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বের কোন দেশ কতটুকু অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় অবস্থান করছে, তা নিয়ে একটি গবেষণা তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সাপ্তাহিক নিউজপেপার দ্য ইকোনমিস্ট। এতে এ কথা বলা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেয়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি নিরাপদ আছে বলছে, এই জরিপ। এমনকি পাকিস্তান, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতির চেয়েও কম ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।

লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায়ও পাকিস্তান, ভারত, চীন এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশের চেয়েও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বাংলাদেশের অর্থনীতি।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতিতেও উদীয়মান সবল অর্থনীতি ৬৬টি দেশের। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। অর্থাৎ নবম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ।

ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সের বরাতে দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, উদীয়মান এসব অর্থনীতির দেশের বন্ড ও শেয়ারবাজার থেকে করোনাভাইরাসের এই গত চার মাসে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি তুলে নিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। যা ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি।

চারটি সম্ভাব্য সংস্থার নির্বাচিত অর্থনীতির দুর্বলতা পরীক্ষা করে এই জরিপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জনগণের ঋণ হিসেবে জিডিপির শতাংশ, বৈদেশিক ঋণ, ঋণের সুদ ও রিজার্ভ কভার।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তা গবেষণা তালিকাটিতে শীর্ষে রয়েছে বতসোয়ানা। আর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। এ ছাড়া চীনের অবস্থান বাংলাদেশের পরে; ১০ নম্বরে। আর সৌদি আরবের অবস্থান বাংলাদেশের এক ধাপ আগে, অর্থাৎ আটে।

খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের গবেষণায় উঠে আসা এই তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৮। পাকিস্তানের ৪৩। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৭।

নিউজ পেপারটি এও বলছে, করোনাভাইরাস উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলছে কয়েকবার। হতে পারে তিনভাবে। এর মধ্যে ঘোষিত কঠোর লকডাউনের কারণে লোকজনের ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ একটি। এ ছাড়া আকাশপথে বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষতি আরেকটি। এরপরও তুলনামূলক সবল আছে দেশগুলোর অর্থনীতি।

সূত্রঃ যায়যায়দিন

আলোকিত রাঙামাটি