রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৭ এপ্রিল ২০২১

ভারতের করোনা পরিস্থিতি “হৃদয়বিদারক”: ডাব্লিউএইচও প্রধান

ভারতের করোনা পরিস্থিতি “হৃদয়বিদারক”: ডাব্লিউএইচও প্রধান

ছবি: সংগৃহীত


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির আকার নিয়েছে ভারতে। করোনার সংক্রমণে নাজেহাল সব স্তরের মানুষ। এরইমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট। ভেঙে পড়েছে রাজধানীর স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। পার্কিং লটে চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন দেয়ার কাজ। চলছে জীবন মৃত্যুর লড়াই। এমনকি মৃত্যুর পরেও সৎকারের মাটি পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এমতবস্থায় সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাধনম গেব্রিয়াসেস ভারতকে ক্রমবর্ধমান কোভিড -১৯ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিটিকে “হৃদয়বিদারক” বলে বর্ণনা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন যে, মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারতে অতিরিক্ত কর্মী পাঠাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অনেক জায়গায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে অনেক দেশ এখনো কোভিড -১৯ এর কারণে তীব্র সংকটে পড়েছে। ভারতের পরিস্থিতি হৃদয়বিদারকের চেয়েও বেশি কিছু।

টেড্রস অ্যাধনম বলেন, আমরা যা যা করতে পারি তা করছি। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও সরবরাহ করা হচ্ছে।হাজার অক্সিজেন কন্টেইনার এবং মোবাইল ফিল্ড হাসপাতাল এবং ল্যাবরেটরি ভারতে পাঠাচ্ছে। তা ছাড়াও ভারতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২,৬০০ জন বিশেষজ্ঞকে ভারতে পাঠিয়েছে, যারা পোলিও ও যক্ষা নিয়ে কাজ করেছেন।

গত ৯ সপ্তাহ ধরে লাগাতার বিশ্বের দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ছে। যার সিংহভাগই ভারত থেকে। তাই ভারতের করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বকে ভাবাচ্ছে। এরইমধ্যে ভারতে করোনা প্রতিষেধক তৈরির কাঁচামাল পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনেকথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। অন্যদিকে ভারতের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর, ইউএই। সংকটকালে ১৩৫ কোটি টাকা সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে গুগুল। এগিয়ে এসেছে মাইক্রোসফ্টও।

দেশটিতে গত একদিনে করোনাভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। এখনো পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ১৬৩ জন।

আলোকিত রাঙামাটি