মহাকাশে ‘মূলা’ চাষ করতে ৪ নভোচারীর যাত্রা
নভোচারী মাইকেল হপকিন্স, ভিক্টর গ্রোভার, শ্যানন ওয়াকার এবং সোইকি নগোচি। ছবি: সংগৃহীত
মহাকাশ ভ্রমণকে সম্ভব করে ইতিহাস গড়লো নাসা ও স্পেসএক্স। আজ প্রথমবারের মতো ৪ মহাকাশ পর্যটককে নিয়ে স্পেশ স্টেশনের পথে পাড়ি দিলো স্পেসএক্স মহাকাশ যান। দিনটি ইলন মাস্কের জন্য যে খুব আবেগঘণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সোমবার নাসার তিনজন ও জাপান স্পেস অ্যাজেন্সির একজন নভোচারীকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশানে পাঠাতে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত স্পেসএক্স।
স্পেসএক্স-এর ড্রাগন ক্রু নামের রকেটটি শনিবার উৎক্ষেপনের কথা থাকলেও সেটি বাজে আবহাওয়ার জন্য কয়েকঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। শুরুতে হোঁচট খেলেও সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, সফলভাবেই উৎক্ষেপন করা সম্ভব হয়েছে।
নভোচারীরা স্পেস স্টেশানে ছয় মাস অবস্থান করবেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা করবেন। এমনই একটি পরীক্ষায় নভোচারীরা স্পেস স্টেশনের পরিবেশে ‘মূলা’ উৎপাদন করার চেষ্টা করবেন। মহাকাশের আবদ্ধ পরিবেশে সবজি উৎপাদন করার বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করতে এই প্রচেষ্টা।
ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠা ওই চারজন নভোচারী হচ্ছেন মাইকেল হপকিন্স, ভিক্টর গ্রোভার, শ্যানন ওয়াকার এবং সোইকি নগোচি। নভোচারীরা ২৭ ঘণ্টা পর গন্তব্যে অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশানে পৌঁছাবেন। যা ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড সময়ে সোমবার রাত ১১টা।
স্পেসএক্স এবং নাসা জন্য এই মিশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই মিশনটি স্পেসএক্সের প্রথম পরিপূর্ণ মহাকাশ মিশন। এর আগে দুইজন টেস্ট পাইলট নিয়ে একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন হয় মে মাসে।
আগামী ১৫ মাসে ৭টি ড্রাগন ক্রু পাড়ি দেবে মহাকাশে। প্রত্যেকটি ফ্লাইটেই থাকবেন মহাকাশচারীরা। পরের যানটি পাড়ি দেবে ২০২১ সালের মার্চে।
আলোকিত রাঙামাটি