রাঙামাটি । বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ , ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:১৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মুজিববর্ষে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেবে আওয়ামী লীগ

মুজিববর্ষে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেবে আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি। ফাইল ছবি


বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে আওয়ামী লীগে যে সব অনুপ্রবেশকারী আছে, তাদেরকে বাদ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি।

শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের অধীনে সব জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও এমপিদের নিয়ে বিশেষ যৌথ সভা  অনুষ্ঠিত হয়। সভার আগে এসব কথা বলেন তিনি। 

দিপু মনি বলেন,  মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগে কোনো অনুপ্রবেশকারী থাকতে পারবে না। যারা আছে তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দেয়া হবে। এ সংগঠনে কোনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, সন্ত্রাস, অনুপ্রবেশকারী যেন ঢুকতে না পারে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের থেকে সর্তক থাকতে হবে সবাইকে। আর যদি দলে কোনো অনুপ্রবেশকারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, সন্ত্রাসী থাকে তাদেরকেও দল থেকে বাদ দেয়া হবে। এজন্য সব নেতাকর্মীদের সর্তক থাকতে হবে। 

ষড়যন্ত্র করেই বঙ্গবন্ধুকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা- এমন মন্তব্য করে এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ষড়যন্ত্র থেমে নেই, এখনো চলছে। ষড়যন্ত্র করেই বাঙালি জাতির কাছ থেকে, আমাদের কাছ থেকে বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা। এই চক্রান্তকারীরা থেমে নেই। এখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতিকে বিভ্রান্ত করার পায়তারা করছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে (মুজিববর্ষে)কেউ গৃহহীন না থাকবে উল্লেখ করে দিপু মনি বলেন, মুজিববর্ষে কেউ অন্ধকারে থাকবে না। কেউ  গৃহহীনও থাকবে না। মুজিববর্ষ উপলক্ষে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। একই সঙ্গে সবার শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাদেরকে একটি আওতায় নিয়ে আসা হবে। মুজিববর্ষে আওয়ামী লীগের এটাই অঙ্গিকার। এই সুবিধা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হবে।  জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তা সব নেতাকর্মীকে অক্ষরে অক্ষরে গ্রহণ করে ভূমিকা রাখতে হবে।  

ময়মনসিংহ বিভাগের যেসব জেলায় এখনো মেয়াদোত্তীর্ন কমিটির আছে সেসব জেলায় কমিটি  করতে হবে।  মার্চ মাসের পরেই এর কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। কোনো কোনো জেলার কমিটি ৬ বছর পার হয়েছে, এজন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশও করেন। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনির সভাপতিত্ব যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিকুল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

আলোকিত রাঙামাটি