রাঙামাটি । বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

যেভাবে জামায়াত-শিবির হত্যা করলো আল্লামা শফীকে

যেভাবে জামায়াত-শিবির হত্যা করলো আল্লামা শফীকে

‘শাপলা চত্বরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ফাঁদে পা না দেওয়ায় শফী হুজুরকে তখন থেকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কিছু ছাত্রকে উসকে দিয়ে জামায়াত-শিবির হাটহাজারী মাদ্রাসাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মাদ্রাসায় অবস্থান নিয়ে মীর ইদ্রিস, নাছির উদ্দিন মুনির, মুফতি হারুণ ও ইনজামুল হাসানদের দিয়ে সেখানে লুঠতরাজ ও ভাঙচুর চালায়।’ ঠিক এভাবে মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায় আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার শ্যালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন। এ জন্য তিনি জামায়াত-শিবিরকে দায়ি করেন। সরজমিনে হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে এবং আল্লামা শফীর পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে তাকে হত্যার নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

 শ্যালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন বলেন, ‘আল্লামা শফীকে জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা হত্যা করেছে। হুজুর স্বাধীনতার পক্ষে থাকার কারণে তার এই পরিণতি হয়েছে। আমরা হুজুরের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার বিচার চাই।’

তিনি বলেন, ‘১৯ সেপ্টেম্বর সুপরিকল্পিতভাবে জামায়াত শিবিরের পেতাত্মারা আল্লামা শফী হুজুরকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হত্যা করেছে। শফী হুজুর স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতেন ও তাদের বিরুদ্ধে বই লিখেছেন। এই কারণে শফী হুজুরের প্রতি তাদের ক্ষোভ ছিল। শফী হুজুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ও হাটহাজারী মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য ১৯৮৫ সালে জামায়াত শিবির হামলা চালায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘শাপলা চত্বরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ফাঁদে পা না দেওয়ায় শফী হুজুরকে তখন থেকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কিছু ছাত্রকে উসকে দিয়ে জামায়াত-শিবির হাটহাজারী মাদ্রাসাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মাদ্রাসায় অবস্থান নিয়ে মীর ইদ্রিস, নাছির উদ্দিন মুনির, মুফতি হারুণ ও ইনজামুল হাসানদের দিয়ে সেখানে লুঠতরাজ ও ভাঙচুর চালায়।’
আল্লামা শফীর শ্যালক আরো বলেন, ‘এই সময় জোরপূর্বক হুজুরের কক্ষে প্রবেশ করে হুজুরকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে শফী হুজুরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এতে হুজুর অসুস্থ হয়ে পড়লে মুখে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু জামায়াত-শিবির প্রেতাত্মারা অক্সিজেন মাক্স খুলে নিলে হুজুর মৃত্যুমুখে পতিত হন।’

এদিকে হেফাজতের প্রয়াত আমির আল্লামা শফিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে হেফাজতের বর্তমান কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এই মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ জানান, মামলায় বাদীসহ ছয়জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

আলোকিত রাঙামাটি