রাঙামাটি । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

রাঙামাটিতে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাঙামাটিতে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উদ্যোগে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নির্মিত বিশেষায়িত গবেষণাতরী ‘সিভাসু রিসার্চ ভেসেল’ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে পাহাড়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সোলার প্যানেল প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এ দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

 

 

এ সময় গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কনফারেন্স হল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কনফারেন্স হল থেকে এ দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলার সাংসদ দীপংকর তালুকদার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সহ জেলার উর্ধতন কর্মকর্তা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কনফারেন্স হলরুম থেকে কাপ্তাই সিভাসু গবেষণা তরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ গৌতম বুদ্ধ দাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

প্রায় ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নির্মিত এই গবেষণাতরীতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ৩টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষায়িত গবেষণাতরীর মাধ্যমে বহুমুখী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে মালয়েশিয়া সরকার তাদের কৃত্রিম হ্রদ ‘লেক কেনিয়র’- এর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর সেই তরীর আদলেই কাপ্তাই হ্রদের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও এর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনে সিভাসু’র এই গবেষণাতরীটি নির্মাণ করা হয়েছে। দেশে এই ধরনের উদ্যোগ এটিই প্রথম। সিভাসু’র শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কনফারেন্স হল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম  প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার প্যানেল প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ বাসন্তি চাকমা, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যরিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলামসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী ২টি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে প্রকল্প এলাকার প্রশাসন এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এক সময় অশান্ত ছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তার সরকার এ সমস্যার সমাধান করেছে এবং এক সময়ের অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের আলো ছড়াচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্ত পরিবেশ ছিল। কিন্তু ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে তার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান এবং এর কারণ চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিল, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাটা রাজনৈতিক। কাজেই রাজনৈতিক পথেই তার সরকার এটি সমাধানের উদ্যোগ নেয়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে। সেখানকার ১ হাজার ৮শ’ অস্ত্রধারী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

‘বিএনপির আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। এখন সেখানে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেখানে রাতদিন কাজ হচ্ছে। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হচ্ছে।’

ঢাকার বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বলে গ্রিড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব না। এ কারণে আমরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলোকিত করেছি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের সময় সারাদেশের প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাবার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাড়বে। বিদ্যুতের আলোয় কাজ হবে।’

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়