রাঙামাটির ১৩ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে জ্বলছে সড়ক বাতি
ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর উপজেলাধীন পাহাড়ি এলাকায় সৌর বিদ্যুতের আলোয় জ্বলছে সড়ক বাতি। দীর্ঘ বছর ধরে রাঙামাটির মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা রাতের আঁধারে অন্ধকার থাকলেও এখন সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।
সরকারের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ উপজেলার আওতাধীন ৬টি ইউনিয়নের দুর্গম অন্ধকারাচ্ছন্ন পাহাড়ি এলাকায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ।
তারই আলোকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তার শতাধিক পয়েন্টে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। পর্যটন শহর রাঙামাটির পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে এসব সোলার প্যানেল বসানোর ফলে মুল সড়কের বিশাল অংশজুড়ে আলোকিত হওয়ায় এখন যানবাহন ও মানুষের চলাচল অনেক নিরাপদ হয়ে উঠেছে। রাতের সৌন্দর্যও বেড়েছে পর্যটন শহর রাঙামাটির। - বাসস
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাপছড়ির শালবন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনে বদলে গেছে এ সড়কের চিত্র। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠে সৌর বাতি। লোড শেডিংয়ের ঝামেলা না থাকায় এসব সড়ক বাতিগুলো আলো দেয় সারা রাত। আবার সকালে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লিটন বড়ুয়া জানান, সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনের ফলে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টসহ পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত জনসাধারণ উপকৃত হচ্ছেন। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান জানান, পাহাড়ি এলাকায় যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে সেসব স্থানে যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিরাপদ করতে সৌর প্যানেল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া উপজেলার আওতাধীন ৬টি ইউনিয়নেও সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হচ্ছে।
সোলার স্ট্রিট লাইটের আলোর কারণে রাতের আঁধারে মহাসড়কে এখন যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে স্বস্তি এনেছে। বিষয়টি সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
আলোকিত রাঙামাটি