রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ৩ নভেম্বর ২০২০

রাজনীতি থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে খালেদা জিয়া

রাজনীতি থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে খালেদা জিয়া

বিএনপি লোগো (ফাইল ছবি)

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা তো দূরের কথা, কারো সঙ্গে টেলিফোনেও যোগাযোগ করছেন না বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়া যে রাজনীতি থেকে এখন বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে, এটিই এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার একমাত্র উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমানকে বিবেচনা করা হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিতে তার অবস্থান অত্যন্ত নাজুক। বর্তমানে তিনি ভিলেনে পরিণত হয়েছেন। বিশেষ করে মনোনয়ন বাণিজ্য ও কমিটি বাণিজ্যসহ নানা কারণে তৃণমূলের নেতা-কর্মী থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের কাছে তারেক রহমানের কোনো পজিটিভ ইমেজ নেই। বরং তারেক জিয়া যত দ্রুত দলের কর্তৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন, ততই দলের উপকার- এ ধরনের কথা এখন বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই বলছেন।

বিএনপিপন্থী যেসব রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা আপদকালীন সময়ের জন্য তারেক রহমানের দলের পদ ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছেন, তাদের মধ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অন্যতম।

এদিকে ডা. জাফরুল্লাহর মতো অনেকেই মনে করেন, লন্ডনে অবস্থান করে একটি রাজনৈতিক দল পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এছাড়া তারেকের বিরুদ্ধে যথেষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই দলের স্বার্থে দ্রুত তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।

বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন, বিএনপিকে নতুন করে সাজানো প্রয়োজন। দলের মধ্যে থেকেই জিয়া পরিবারের বাইরে যদি কাউকে নেতা হিসেবে দেয়া যায়, তাহলে বিএনপি সহজেই সংগঠিত হতে পারবে। তবে এ নিয়েও দলের মধ্যে রয়েছে মতভেদ।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর কিছুদিনের জন্য জিয়া পরিবারের বাইরে নেতা হয়েছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। তবে তিনি বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেননি। তখন দলের ভেতর কোন্দল, বিভক্তিসহ নানা জটিলতায় খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার বদলে তারেক রহমানকে কেউ মেনে নিতে পারছেন না। আর শুধু দেশীয় প্রেক্ষাপটে এটি বিবেচনা করা হচ্ছে, তা নয়। প্রভাবশালী একাধিক দেশের কূটনীতিকরাও বিএনপিকে জিয়া পরিবার মুক্ত করার কথা বলেছেন।

আলোকিত রাঙামাটি