রাঙামাটি । বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২৩ আগস্ট ২০২০

‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান’

‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান’

ছবি: রোহিঙ্গা শরণার্থী


গণহত্যার শিকার ও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে সহযোগিতায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর- এর এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের হিসাবে তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আজ মিয়ানমারের বাইরে রয়েছে। ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ নিবন্ধন অনুযায়ী কক্সবাজারে অবস্থান করছে প্রায় আট লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা।’

ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। এর তিন বছর পর আজও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে ও নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিকে করেছে আরো জটিল। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের সাহায্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত পরিবর্তিত পরিস্থিতির নতুন চাহিদাগুলো মেটানো এবং সংকট সমাধানের লক্ষ্যে আরো বেশি কাজ চালিয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশের প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে, জীবন রক্ষাকারী মানবিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে। আজ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিবন্ধিত প্রতি ১০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৯ জন বাস করে বাংলাদেশে। এ মহানুভবতার প্রতিদান হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণের জন্য নিরন্তর সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।’

ইউএনএইচসিআর জানায়, রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ সমাধান রয়েছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশনের সব সুপারিশ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এটি সম্ভব; আর মিয়ানমার সরকারও সেটি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজন সর্বস্তরের অংশগ্রহণ, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নতুন করে কার্যকরী আলোচনা শুরু করা। এর পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির উদ্যোগ নেয়া। এসবের জন্য প্রয়োজন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলাফেরার ওপর বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ গ্রামে ফেরার সুব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা তৈরি করা।

সংস্থাটি বলেছে, ‘শুধু মিয়ানমারের বাইরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করাই নয়, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আরেকটি লক্ষ্য হওয়া উচিত রোহিঙ্গাদের আশানুযায়ী তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। সে জন্য শুধু মিয়ানমারে স্থায়ী সমাধানের জন্য নয়, আশ্রয় প্রদানকারী দেশের বাইরে তাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা শরণার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য আরো কাজ করতে হবে।’

আলোকিত রাঙামাটি